প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১:৩৭:৩৫
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় পরাজয়ের পর টাইগাররা সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে পড়ে। এরপর সিরিজে অধিনায়কত্ব পাওয়া লিটন দাস বিশ্রাম চান বিসিবির কাছে। তার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে নাজমুল হোসেন শান্তকে নেতৃত্বে রেখেই মাঠে নামেন স্বাগতিক ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচেই শান্ত একটি রেকর্ড গড়েছেন।
সিরিজ বাঁঁচানোর লক্ষ্যে আগে ব্যাটিংয়ে নামা শান্ত’র দল মাত্র ১৭১ রানেই গুটিয়ে যায়। তখনও হাতে ছিল ১৫.৩ ওভার। বাস্তবতা হচ্ছে এক নাজমুল শান্ত ছাড়া কেউই বাংলাদেশের পক্ষে আস্থার জায়গা করে নিতে পারেননি। শান্ত’র ৭৬ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া একই ফিগার ১৮ রান উঠেছে মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়ের নামের পাশে।
কিউইদের বিপক্ষে ২৭তম ওভারে চার হাঁকানোর পর শান্তর রান গিয়ে ঠেকে ৭১-এ। আর তাতেই ভেঙে গেছে ২৫ বছর ধরে টিকে থাকা এক রেকর্ড। ওয়ানডে দলের নেতৃত্বের অভিষেকে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহের মালিক এখন শান্ত। এতদিন পর্যন্ত ৭০ রান নিয়ে এই কীর্তি ছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুলের। ১৯৯৮ সালের মার্চে তিনি ভারতের বিপক্ষে ৭০ রান করেছিলেন। ম্যাচটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে বুলবুলের ওডিআই অভিষেক। এরপর টাইগার নেতৃত্বে আরও অনেকেই আসলেও অভিষেকে বুলবুলের রান পার করতে পারেননি কেউ।
দুর্দান্ত ফর্ম নিয়ে শান্ত এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েছিলেন। সেখানেও অবিস্মরণীয় কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি ছিটকে যান ইনজুরির কারণে। এরপর বিশ্রাম শেষে আজ মাঠে ফিরেছেন অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড নিয়ে। বিরতি দিলেও শান্ত মাঠের পারফরম্যান্সে চোটের কোনো প্রভাব দেননি। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে ফিফটির বেশি রান করেছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। সর্বশেষ তিন ইনিংসে শান্তর ব্যাটিংয়ের চিত্রটা এমন- ৮৯, ১০৪ ও ৭৬।
এর আগে টাইগারদের হয়ে ওয়ানডেতে নেতৃত্বের অভিষেক ম্যাচে হাবিবুল বাশার ৬১, সাকিব আল হাসান ৫৪ এবং নাইমুর রহমান দুর্জয় ৪৬ রান করেছিলেন।