রাজনীতি

দেশ চলে জয় বাংলার আইনের ওপর : রিজভী

  প্রতিনিধি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩:৩৯:০৮

শেয়ার করুন

 

 

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, বাংলাদেশে চিকিৎসা সর্বোচ্চ হয়েছে। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা না হলে নেত্রীকে বাঁচানো যাবে না। এই আবেদন শুধু দলের নয়, এই আবেদন শুধু বিএনপি নেতৃবৃন্দের নয়, এই আবেদন দেশের কোটি কোটি মানুষের। এই আবেদন দেশের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসকদের। শেখ হাসিনা কারো কথা বিশ্বাস করেন না।

 

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া চালা ওয়েল ফেয়ার ক্লাব মাঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, তার (খালেদা জিয়ার) চোখ অসুস্থ, তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত, তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত, তার উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিস, তার হৃদরোগে অসুস্থতা, তার রিং পরানো আছে। এতো বেশি অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই। আর আপনি গোটা আমেরিকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আপনার আইনমন্ত্রী বলেছেন, তাদের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন দেওয়া হয়নি। ৪ সেপ্টেম্বর আবেদন দেওয়া হয়েছে, সোমবার তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। সোমবার আইনমন্ত্রী বলেছেন, সিদ্ধান্ত দেবেন। আর প্রধানমন্ত্রী ভয়েস অব আমেরিকায় বলছেন, দণ্ডিত আসামির বিদেশে চিকিৎসার কোনো নিয়ম নেই। এক দেশে একই সরকারের দুই জনের বক্তব্য দুই রকম। এটা আর কিছু নয়।

 

তিনি প্রশ্ন করেন, এই দেশ কি প্রকৃত আইন ও প্রচলিত আইনের ওপর চলে? এই দেশ মূলত চলে জয় বাংলার শাসনের ওপর। এই দেশ চলে জয় বাংলার আইনের ওপর। এই দেশে প্রকৃত আইন নেই। এইখানে রয়েছে শেখ হাসিনার আইন। প্রধান বিচারপতি যখন শেখ হাসিনার কথা শুনতেন তখন ঠিক ছিল। তার কথা যখন শুনলেন না, তখন বন্ধুকের নল ঠেকিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করলেন। এই হলো শেখ হাসিনার আইন, শেখ হাসিনার আদালত।

শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনি কারাগারে ছিলেন, আপনি কারাগারে থেকে চিকিৎসার জন্য যাননি আমেরিকায়? আপনি গেছেন। শুধু তাই নয়, আপনার মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, তার তো সাজা হয়েছিল। সাজা থাকা অবস্থায় সিঙ্গাপুরে কী করে চিকিৎসার জন্য গেলেন। আ স ম আব্দুর রব জাতীয় নেতা, তার সাজা হয়েছিল। সাজা থাকা অবস্থায় তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। আপনি বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারবেন। এটা আপনার অশুভ চিন্তা।

 

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি ৩৬ দিন আল্টিমেটাম দিয়েছেন। বিএনপিকে সঠিক পথে আসতে বলেছেন, না হলে খবর আছে, হাত পা ভেঙে দেওয়া হবে। আমি বলি, আপনি কার হাত পা ভাঙবেন, জনগণ আমাদের সঙ্গে। পুলিশ দিয়ে বাধা দেন, র‌্যাব দিয়ে বাধা দেন। আপনারা যা বলবেন, তার ওল্টোটা হবে। আজ তো চারদিক থেকে জনসভায় অনেকে এসেছে। উল্টা-পাল্টা কথায় জনগণ এখন ওবায়দুল কাদেরের নাম দিয়েছে আন্তর্জাতিক গোপাল ভাঁড়।

গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতেত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান রতন, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির খান, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নান শাহ, ডা. মাজহারুল আলম, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার প্রমুখ।

 

 

 


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content