আইন-কানুন

যুবদলের মুন্নাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আইনজীবীদের সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:১০:২০

শেয়ার করুন

 

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে জেলখানায় আটকে রাখা ‘অবৈধ’ বলে অভিযোগ তুলে আদালতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তালায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

সংবাদ সম্মেলনে মুন্নার আইনজীবী ও কেন্দ্রীয় যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক নিহার হোসেন ফারুক বলেন, গত ৮ মার্চ বিনা পরোয়ানায় আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর শাহজাহানপুর থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সে মামলায় জামিন পেলেও তাকে একের পর এক পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে কোনো মামলার এজাহারেই আবদুল মোনায়েম মুন্নার নাম ছিল না।

এমন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে মুন্নাকে এভাবে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো কেন অবৈধ হবে না মর্মে রুল ইস্যু করেন আদালত। এছাড়া রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জেলগেট থেকে এবং এজাহারে নাম না থাকলে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার না দেখাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট বিভাগ। কিন্তু পুলিশ উচ্চ আদালতের এই আদেশ অগ্রাহ্য করে পুনরায় যাত্রাবাড়ী থানার আরেক মামলায় নাম না থাকা সত্ত্বেও মুন্নাকে গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করে। এরপর ফের রিট দায়ের করা হলে হাইকোর্ট বিভাগ পুনরায় একই রুল প্রদান করেন।

কিন্তু গত ৩০ আগস্ট সব মামলার জামিননামা দাখিল করলেও যুবদল সেক্রেটারিকে না ছেড়ে ফের এজাহারে নাম না থাকা রামপুরা থানার আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করা হয়েছে। এভাবে হাইকোর্টের আদেশ না মেনে সকল মামলায় জামিনে থাকলেও জেলখানায় অবৈধভাবে আটকে রাখা মানবাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন। আমরা আবদুল মোনায়েম মুন্নার মুক্তি চাই।

এসময় যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর হাসান সোহেল বলেন, যুবদল সেক্রেটারিকে গায়েবি মামলায় একের পর এক ফাঁসানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একদিনের একই সময়ে রাজধানীর ভিন্ন ভিন্ন তিনটি স্থানের মামলার আসামি করা হয়েছে। একজন মানুষ কীভাবে একই সময়ে তিন জায়গায় থাকতে পারে। বর্তমানে সব মামলায় তিনি জামিনে আছেন। আমরা তার মুক্তি চাই।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, মেহেদী হাসান জুয়েল, মাহমুদুল করিম সজল ও মাহফুজার রহমান ইলিয়াসসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

 


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content