জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সাহায্য চাওয়া হয়েছে : মোমেন

  প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:০৮:০৬

শেয়ার করুন

 

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে ভারতের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে মোদির সরকারি বাসভবনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে তাকে স্বাগত জানান। তারপর প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন দুই দেশের শীর্ষ নেতা।

বৈঠক শেষে মোমেন জানিয়েছেন, হাসিনা-মোদি বৈঠকে তিস্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তবে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। কিছুক্ষণ তারা একান্তে আলোচনা করেছেন।

এই একান্ত বৈঠকে কী বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে কী না- সে বিষয়ে কিছুই জানেন না মোমেন।

মোমেন বলেন, মোদীর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা দিল্লি সফর করছেন। তিনি দুপুর সওয়া একটা নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছান। সাড়ে পাঁচটায় মোদীর সঙ্গে বৈঠক হয। সেখানে মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়। একান্ত বৈঠকও হয়।

মোমেন আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন। জি২০-র আমন্ত্রণের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

গ্লোবাল সাউথের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে জি২০তে তুলে ধরার জন্য তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীও জি২০তে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার জন্য হাসিনাকে সাধুবাদ জানান।

মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেছেন, ভারত হলো বাংলাদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার। ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধও তিনি মোদীকে করেছেন।

জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিনটি সমঝোতাপত্রে সই হয়েছে। কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্প ২০২৩ থেকে ২৫ এবং দুই দেশের মুদ্রার বিনিময় সহজতর করা নিয়ে।

এদিকে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় টুইট করে বলেন, ‘‘আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।’’

মোদী বলেছেন, ‘‘শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত নয় বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক।’’

 


শেয়ার করুন