প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৬:১৮:২২
স্টাফ রিপোর্টারঃ শিল্পাঞ্চল ঢাকার আশুলিয়ার ইছরকান্দি এলাকায় অবৈধভাবে বালু দিয়ে ফলসি জমি ভরাতের মহাৎস চলছে। যেখানে নের্তৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারকে।
একদিকে কৃষিজমি সুরক্ষায় একটি আইন করেছে সরকার। আবাদি কৃষিজমি বিনষ্ট করলে আইনে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আইনের খসড়ায় ভূমি জোনিং করে কৃষিজমি বিনষ্ট করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে উল্লেখ্য রয়েছে।
কৃষি জমিতে আবাসন-স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমির উর্ধ্বমুখী ব্যবহারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন, ২০১৫’ নামে আইনটির খসড়া প্রণয়ন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
এই আইন অমান্য করলে অনুর্ধ্ব দুই বছর জেল এবং সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হবে। কৃষিজমি সুরক্ষার পাশাপাশি ভূমির যথেচ্ছা ব্যবহার রোধে এ আইন বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু আশুলিয়ার ইছরকান্দিতে বালু দিয়ে ভরাট করার প্রক্রিয়ায় শত শত বিঘা ফসলি জমি উদ্ধারে কি এগিয়ে আসবে? এ্যাচিভ গ্রুপের মালিকানাধীন শত শত বিঘা ফসলি জমি গ্রাস হতে চলছে মাটিখেকোদের তৎপরে। প্রভাব বিস্তার করতে নিজের গড়া বাহিনী নিয়ে প্রতিনিয়ত তদারকি করতে দেখা গেছে কবির সরকার নামের যুবলীগ নেতাকে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের মুঠোফোনে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি জানান, এলাকার লোকাল প্রতিনিধি হয়ে সেখানে সে গিয়েছে। কিন্তু সরকারের আইনের বাইরে গিয়ে ফসলি জমি বিনষ্টের ব্যাপারে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল ইছরকান্দির শত শত বিঘা ফসলি জমি বিনষ্ট করে স্থাপনা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া এখনই বন্ধ না করলে আশুলিয়ার প্রাকৃতিক পরিবেশ সহ কৃষকের উৎপাদিত ফসলের হার হুমকির মুখে পড়বে। সচেতন মহলের দাবি দ্রুত যেন সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি গুরুত্ব দেন।