প্রতিনিধি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১০:১২:৫৯

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তার দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিত্রতা স্থাপনের জন্য প্রস্তুত। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা নিতে হবে।
বুধবার নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট, আপনার নেতৃত্বে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের একটি ঐতিহাসিক মিত্রতার জন্য আমরা এগিয়ে যেতে পারি। এ ব্যাপরে ইসরায়েল প্রস্তুত।’
সৌদি আরব অবশ্য আগে জানিয়েছিল যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সুরাহা হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি বা কোনো প্রকার মিত্রতা স্থাপন করবে না। তবে সম্প্রতি এই ইস্যুতে খানিকটা নমনীয় হয়েছে সৌদি।
এবং এই কৃতিত্ব অনেকটাই বাইডেন প্রশাসনের। ২০২০ সালে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব অবসান এবং মধ্যপ্রাচ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মিত্র সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে মিত্রতা স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধানে দ্বিরাষ্ট্রতত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন তিনি এবং আপাতভাবে তা দু’পক্ষ মেনেও নিয়েছে। এখন বাকি রয়েছে সৌদি ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপন।
বাইডেন প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, যদি মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তির মধ্যে মিত্রতা স্থাপিত হয়, সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং কূটনৈতিক ভাবে ব্যাপক লাভবান হবে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বুধবার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সম্পর্কে বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে সংঘাত চলছে মধ্যপ্রাচ্যে। যদি এই দু’দেশের মধ্যে মিত্রতা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়, সেক্ষেত্রে সেই সংঘাত কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’
সূত্র : আল আরাবিয়া

















