প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১০:২৯:৫৬
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণদের রাজনীতির প্রতি অসন্তোষ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এর পেছনের কারণের মধ্যে রয়েছে-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি, বাকস্বাধীনতায় বাধা, যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের একচেটিয়া ছাত্র রাজনীতি, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থার অভাব এবং ভোট দিতে না পারা।
গণতান্ত্রিক চর্চায় তরুণদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তিনি বলেছেন, নাগরিকদের প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে রাজনীতি ও নির্বাচন যুক্ত। রাজনৈতিক দল তাদের পরিকল্পনা নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে এবং নাগরিকেরা সিদ্ধান্ত নেন কোন দল তাঁদের জন্য ভালো ও সে অনুযায়ী ভোট দেন। যে দল নাগরিকদের অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব দিতে ব্যর্থ হয়, সে দল ভোটে হেরে যায়। ভোটে জেতা ও হারা এ দুটো বিষয়ই কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত জাতীয় যুব সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন তখনই সম্ভব, যখন সব ধরনের মানুষ ভূমিকা পালন করতে পারে ও ভূমিকা পালনের সুযোগ পায়।
‘যুব আলোচনা: নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই সম্মেলনে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা তরুণেরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম বক্তব্য রাখেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামীর পথচলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন তরুণেরা। তারা নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসবেন। তরুণদের দায়িত্ব এই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন করা।
তরুণদের কণ্ঠ ও উদ্যোগে তারা যেমন বাংলাদেশ দেখতে চান, তা গড়ে উঠবে। তরুণেরা এগিয়ে এলেই পরিবর্তন আসবে। সহিংসতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল ওল্ডস।