প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫:২২:১৬

গতকাল ঢাকার সরকারি হাসপাতালে ঘটে গেলো মর্মান্তিক ঘটনা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ঘটনাটি নিম্নে হুবহু প্রকাশ করা হলো
হৃদরোগ হাসপাতালের CCU তে ভর্তি মা, ঔষধ ও পরীক্ষা করতে বারবার বাইরে যেতে হচ্ছে, যতবার ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে ততবারই আনসার সদস্যকে ৫০/১০০ টাকা ঘু ষ দিতে হচ্ছে, মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন, ডাক্তার জরুরী রক্ত দিতে বললেন, রক্ত কিনে CCU তে ঢুকবো আনসার ৫০ টাকার জন্য আটকে দিলেন, বললাম সকাল থেকে ৩ বার দিয়েছি এখন টাকা নাই, শুনেই মারধর শুরু করে দিলো, বাঁশি বাজিয়ে আরো আনসার ডেকে এনে এক আতংক সৃষ্টি করে ফেললো, আমাকে বাঁচাতে এসে বাবা, বড়ভাই, বোন ও খালাও গণপিটুনি খেলো আনসারদের হাতে, ঔদিকে রক্তের অভাবে মায়ের অবস্থা খারাপ হচ্ছে এদিকে আনসাররা আমাদের মেরে বাথরুমে আটকে রেখেছে, কিছুক্ষণ পরে শুনলাম মা মারা গেছে…
মায়ের জানাযা দাফন রেখে এখন আমি পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি…
মর্মান্তিক এ ঘটনা তো গেলো শুধু একটি সরকারি হাসপাতালের ঘটনা।
খোদ রাজধানীতেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নাজুক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বড় বড় হাসপাতাল আছে, চিকিৎসা সরঞ্জামেরও অভাব নেই- শুধু সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতায় সেবাবঞ্চিত থাকছেন রোগীরা। ডাক্তারের অবর্তমানে ওয়ার্ডবয় আর নার্সদের গাফিলতিতে আয়ারা হয়ে ওঠেন সর্বেসর্বা। আছে দালালদের লাগামহীন উৎপাত।
হাসপাতালে ভর্তি করতে দালাল, ওয়ার্ডে বেড পাওয়া নিশ্চিত করতে দালাল, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেও দালালদের সাহায্য নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। পঙ্গু হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রোগীর জন্য ট্রলি ব্যবহার করতেও টাকা গুনতে হয় স্বজনদের। রোগীদের ব্যবহার্য ট্রলি নিয়ন্ত্রণে রেখে মিটফোর্ড হাসপাতালেও বাড়তি টাকা কামায় বহিরাগতরা। ছুটির দিন আর রাতের বেলায় হাসপাতালগুলোর চেহারা যেন আমূল পাল্টে যায়।
হাসপাতালে ভর্তি করতে দালাল, ওয়ার্ডে বেড পাওয়া নিশ্চিত করতে দালাল, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেও দালালদের সাহায্য নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। পঙ্গু হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রোগীর জন্য ট্রলি ব্যবহার করতেও টাকা গুনতে হয় স্বজনদের। রোগীদের ব্যবহার্য ট্রলি নিয়ন্ত্রণে রেখে মিটফোর্ড হাসপাতালেও বাড়তি টাকা কামায় বহিরাগতরা।
বাংলাদেশের প্রতিটা হাসপাতাল গুলোতে এমন দূর্দশা।হাসপাতালের দারোয়ান থেকে আনসার,নার্স সকল কর্মকর্তাসহ আমার মনে হয় হাসপাতালের দেয়ালের ইটও ‘হা’ করে থাকে রোগীর আত্মীয় থেকে টাকা নেয়ার জন্য।টাকা দিলে রুগী দেখতে দিবে।টাকা দিলে রোগী ভর্তি করতে পারবে,টাকা দিলে বেড মিলবে,বেডে নতুন চাদর,বালিশ মিলবে,টাকা দিলে অপারেশন এর রোগীকে এক বেড থেকে অন্য বেডে নিবে।
আমি নিজেও এমন ভুক্তভোগী। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ হাসপাতাল ঢাকা মেডিকেল,শিশু হাসপাতাল গুলোতে আমি নিজেই বহুবার এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি।
রংপুর এর একজন বলেন-রংপুর সরকারি মেডিকেল এর কথা শুনলে কোন ডোনার ব্লাড দিতে চায় না এতটা পরিমাণে হয়রানি করে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটা মেডিকেল এর চিত্র একই।বাংলাদেশের হাসপাতাল গুলোর ডিজিটাল ব্যবস্থা কবে হবে কে দিবে এর উত্তর জানা নেই।

















