রাজনীতি

একটাই কথা, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না : মির্জা ফখরুল

  প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:০১:১৮

শেয়ার করুন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কুমিল্লার রাজপথ দখল হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে সব দখল হবে। এখনও সময় আছে পদত্যাগ করুন। জনগণ আর কোনও স্বৈরাচারকে দেখতে চায় না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘হাসিনা আমেরিকা থেকে উইড়া আসছে খালি হাতে। তারা আবারও আগের রাতে ভোট করার পাঁয়তারা করেছে। তারা (আমেরিকা) কি সাড়া দিছে? দেয়নি। আজ সকল গণতান্ত্রিক শক্তি এক জোট হয়েছে। কথা পরিষ্কার, নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে৷ আজকে তারা ভয় দেখায়। ভয়ে কোনো কাজ হবে না।’


নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না।

এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা-চট্টগ্রাম রোড মার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘(শেখ) হাসিনা আমেরিকা থেকে উইড়া আসছে খালি হাতে। তারা আবারও আগের রাতে ভোট করার পাঁয়তারা করেছে। তারা (আমেরিকা) কি সাড়া দিছে? দেয়নি।

‘আজ সকল গণতান্ত্রিক শক্তি একজোট হয়েছে। কথা পরিষ্কার, নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আজকে তারা ভয় দেখায়। ভয়ে কোনো কাজ হবে না।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আজকে ডিমের ডজন ১৫০ টাকা; বাচ্চাদের খাওয়াতে পারি না। আজকে লুটপাটের সরকার আমাদের বুকের ওপর বসে আছে। আজ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছে না। তারা জানে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে ফিরলেই তারা শেষ।

‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র থাকবে কী থাকবে না, এবার নির্ধারণ হবে। তারা নাকি উন্নয়ন করছে। তারা আজ রূপপুরে ইউরেনিয়াম নিয়ে আসছে। ইউরেনিয়ামের কারণে মাইলের পর মাইল ধ্বংস হয়ে যাবে। কোনো নিরাপত্তা বিধান না করে আজ দুর্নীতির কারণেই এমন প্রকল্প নিয়ে আসছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) আমাদের কথা বলতে দেয় না, কথা বললেই মামলা। তারা আন্দোলনে ২২ জনকে গুলি করে মেরেছে, ৭০০ মানুষকে গুম করেছে, সহস্র মানুষকে হত্যা করেছে। আমাদের দাবি একটাই, আমরা ভোট দিতে চাই।’

ফখরুল বলেন, ‘এই রোডমার্চের মাধ্যমে সরকারকে জানিয়ে দিচ্ছি, আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে। না হলে জনগণ জানে আপনাদের কীভাবে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।’

বিএনপির মহাসচিব নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘লাফিয়ে লাফিয়ে স্লোগান দিলে হবে না, রাজপথ দখলে রাখতে হবে। বন্ধুরা, বাবারা, ছোট ছোট ভাইয়েরা আমাদের জেগে উঠতে হবে। রাজপথ দখল করে সরকার হটাতে হবে।’

উদ্বোধনী সমাবেশের প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এরা বিদায় হয়ে গেছে, মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। এরা বুঝতে পারছে ক্ষমতা শেষ। এদের শুধু শরীর দেখা যায়। দেশ থেকে বিদায় হয়ে বিদেশে গিয়ে অনেক চেষ্টা করছে, ধারে ধারে ঘুরছে, হাতে-পায়ে ধরছে, কোনো লাভ হয় নাই।

‘আজ বাংলাদেশের মানুষ এক পক্ষে, হাসিনার রেজিম এক পক্ষে। এদের শক্তি কিছু দুর্বৃত্ত, পুলিশ, আমলা রাজনীতিবিদ। আগামী কিছুদিন কঠিন সময় পার করতে হবে। রাস্তা ছাড়া যাবে না। আজ সকল পক্ষ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শামিল হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শান্তি সমাবেশ করে জনস্রোতের সামনে দাঁড়াতে পারবেন? তাদের কথা শুনলে মনে হয় তারা কোনো রাজনৈতিক দল? এদের পাগলা গারদে পাঠানোর সময় হয়ে গেছে।

 

‘ঝড়, বৃষ্টি, বাদল, বন্যা আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। এই নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ী হতে হবে।’

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content