আন্তর্জাতিক

চীনের পারমাণবিক সাবমেরিন বিপর্যয়ে নিহত ৫৫ সৈন্য

  প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:৫৩:৩২

শেয়ার করুন

চীনের পারমাণবিক সাবমেরিন বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে থাকা ৫৫ নাবিকের মৃত্যর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।তবে এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে চীন।

ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল। সেখানে দাবি করা হয়, মনে করা হচ্ছে, ইয়েলো সি তথা পীত সাগরে গোয়েন্দা ফাঁদে আটকা পড়ে চীনা সাবমেরিন। এর ফলে তাদের মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, পীত সাগরে ব্রিটিশ সাব-সারফেস জাহাজগুলোকে ফাঁদে ফেলার উদ্দেশে ওই ফাঁদ পাতা হয়। চীনের পারমাণবিক সাবমেরিন সেই ফাঁদে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা ওই ফাঁদ পেতেছে প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি।

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি (২১ আগস্ট) ফাঁদে পড়ে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ‘০৯৩-৪১৭’ পারমাণবিক সাবমেরিনটিতে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়। এর ফলে সাবমেরিনে বিষক্রিয়া ঘটে নাবিকদের মৃত্যু হয়েছে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চীনা নৌবাহিনীর ওই সাবমেরিন দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ক্যাপ্টেসহ মোট ২২ জন অফিসার ছিলেন। ওই ক্যাপ্টেনের নাম কর্নেল জুই ইয়ং-পেং। তবে চীন ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সাবমেরিনটি উদ্ধারে আন্তর্জাতিক সহায়তার অনুরোধও অস্বীকার করেছে বেইজিং।

যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২১ আগস্ট ইয়েলো সাগরে একটি মিশন পরিচালনার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সময় ৮টা ১২ মিনিটে ঘটে ঘটনাটি। এতে ৫৫ জন নাবিকের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ২২ জন অফিসার, ৭ ক্যাডেট অফিসার, ৯ জন পেটি অফিসার আর ১৭ জন নাবিক।

যুক্তরাজ্যের এই গোয়েন্দা প্রতিবেদন ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং। অন্যদিকে তাইওয়ানও প্রতিবেদনটির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটির ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের টাইপ ০৯৩ সাবমেরিনগুলো গত ১৫ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩৫১ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সাবমেরিনগুলো টর্পেডো দিয়ে সজ্জিত।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content