ইসলাম

যাকাত দেওয়ার ফযিলত।

  প্রতিনিধি ৭ অক্টোবর ২০২৩ , ১:১৬:৪৪

শেয়ার করুন

 

রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, দান-সাদকা সম্পদকে হ্রাস করে না, আর ক্ষমা করার দ্বারা আল্লাহ বান্দার ইজ্জত বৃদ্ধি করেন। আর কেউ আল্লাহর উদ্দেশ্যে তাওয়াজু বা বিনয় অবলম্বন করলে আল্লাহ তার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন। {মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৪৬৮৯}
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন ‘একমাত্র দুই ব্যক্তি ঈর্ষণীয়। এক হল যাকে আল্লাহ সম্পদ দান করেছেন। আর হক কাজে সেই সম্পদ ব্যয় করার জন্য তাকে নিযুক্ত করেছেন। আর এক ব্যক্তি হল যাকে আল্লাহ হেকমত তথা কুরআন-হাদীসের ইলম দান করেছেন অত:পর সে সেই ইলম অনুযায়ী সব কিছুর ফয়সালা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।’{বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৭১}

রাসূলুল্লাহ সা.বলেন, আল্লাহর বান্দাগণ যখনই ভোরে উঠে, আকাশ থেকে দুজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়। তাঁদের একজন বলেন হে আল্লাহ, দাও তুমি দাতাকে প্রতিদান এবং অপরজন বলেন, হে আল্লাহ, দাও তুমি কৃপণকে সর্বনাশ। {বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১৩৫১} হাদীস শরীফে আরো বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি দান কর, আমি তোমাকে দান করব। {বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৪৯৩৩}

রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, যে ব্যক্তি একটি খেজুর বরাবর সদকা করবে পবিত্র উপার্জন থেকে, আর আল্লাহ পবিত্র উপার্জন ব্যতীত কবুল করেন না। তাহলে আল্লাহ তার ঐ সাদকা কবুল করবেন। অতঃপর সেটাকে বর্ধিত করবেন। যেমন আমাদের কেউ তার অশ্ব লালন-পালন করে বড় বানাতে থাকে। এভাবে আল্লাহ তার সাদকাকে বৃদ্ধি করতে থাকেন, এমনকি তা পাহাড়ের সমান হয়ে যায়। {বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১৩২১}

রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, নামায, রোযা, সাদকা ও ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে বারণ (এসব আমল) মানুষের পরিবার, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতি ও প্রতিবেশী সংক্রান্ত গুনাহ সমূহ মোচন করে দেয়। {বুখারী শলীফ, হাদীস নং-১৩৪৫}

রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, দাতা ব্যক্তি আল্লাহর নিকটে, জান্নাতেরও নিকটে, মানুষেরও নিকটে; অথচ জাহান্নাম থেকে দূরে, পক্ষান্তরে কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহর থেকেও দূরে, জান্নাত থেকেও দূরে, মানুষ থেকেও দূরে; অথচ জাহান্নামের নিকটে। নিশ্চয়ই মূর্খ দাতা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় কৃপণ ইবাদত কারীর চেয়ে। {তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং-১৮৮৪}

রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, যাকে আল্লাহ ধন-সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার যাকাত দেয় না, কিয়ামতের দিন তার সম্পদকে তার জন্য মাথায় টাক পড়া সাপের রূপ দেয়া হবে, যার চক্ষুর উপর দুটি কাল দাগ থাকবে (অর্থাৎ প্রচন্ড বিষাক্ত হবে) ঐ সাপকে তার গলায় বেড়ি স্বরূপ করে দেয়া হবে। অত:পর ঐ সাপ তার দুই গালে দংশন করতে থাকবে। আর বলতে থাকবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয় করে রাখা সম্পদ!! {বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১৩১৫}


শেয়ার করুন