প্রতিনিধি ২৯ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:৩৬:২২
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে অভিযোগ করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ রবিবার দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে রবিবার সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সরকার অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতনের শিকার জনগণের পিঠ দেয়ালে গিয়ে ঠেকেছে।
জামায়াত ও বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে এবং অন্যান্য বিরোধী দলের সমাবেশে জনতার ঢল দেখে সরকার খেই হারিয়ে ফেলেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। জনসমর্থনহীন জালিম সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমি এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ সেই সাথে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান তিনি।
অপর এক বিবৃতিতে ভারপ্রাপ্ত আমির জামায়াত ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুর রহমান এবং গত দুই দিনে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের চার শতাধিক নেতাকর্মীকে সরকার অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার সকালে নিজ কর্মস্থল মাদরাসা থেকে খুলনা জেলা নায়েবে আমির মাওলানা কবিরুল ইসলামকে পুলিশ বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।
এভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে জেলে ঢুকিয়ে জনগণের আন্দোলন অতীতে যেমন কোনো সরকার দমন করতে পারেনি, তেমনি বর্তমান সরকারও পারবে না। আমি সরকারের এই সব অন্যায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকায় বেড়াতে আসা সাধারণ মানুষ এবং রিকশা ও বিভিন্ন কল-কারখানার শ্রমিকদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে সরকার জেলে ঢোকাচ্ছে। সরকার গোটা দেশটাকেই আজ একটি বৃহৎ জেলখানায় পরিণত করেছে। স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কয়েক দিন আগে স্বীকার করেছেন, দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও অধিক সংখ্যক বন্দিকে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে।
যে কারণে বন্দিরা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে না, চাহিদা অনুযায়ী পানিও পাচ্ছে না। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ অবস্থায় কোনো দেশ চলতে পারে না।’
তিনি বলেন, জনগণের দাবি অবৈধ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সরকার যত তাড়াতাড়ি এ দাবি মেনে নেবে, দেশের জন্য ততই কল্যাণকর হবে। তাই জনগণের কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিয়ে দেশকে বর্তমান সংকট থেকে উদ্ধার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।