আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুই চালান ইউরেনিয়াম এসেছে। বেশি লাফালাফি করলে কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু মঈন খানের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু রিজভীর মাথায় ঢেলে দেবো। এখন ডাণ্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেবো। গতকাল রাজধানীর গাবতলী থেকে মিরপুর রোডগামী সড়কে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা রূপপুর বন্ধ করতে চায়, তাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেবো। ভোট হবে। আগামী জানুয়ারিতে ভোট হবে। তার আগে নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে। খেলা ছাড়া উপায় নেই বিএনপি’র সঙ্গে।
বিএনপি’র বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চোরের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সারা বাংলায়, সারা ঢাকায় খেলা হবে। জোরে জোরে খেলা হবে। ফাউল করলে লালকার্ড, ফাউল করলে হলুদ কার্ড। তিনি বলেন, চলবে আন্দোলন। ফখরুল বলে ঢাকা অচল করে দেবে অক্টোবর মাসে। ঢাকা অচল করতে এলে ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। অচল করতে এলে নিজেরা অচল হয়ে যাবে। ইউরেনিয়ামের দুটি চালান এসে গেছে। পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। বাংলাদেশে সাংঘাতিক আলো ঝলমলো পরিবেশ হবে। এতে ফখরুলের অন্তর্জ্বালা, মঈন খানের অন্তর্জ্বালা। রূপপুর বন্ধ করে দেবে বলেছে, কে বলেছে? আমরা বলছি রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায় সে ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেবো। যে লাফাবে তার মাথায় ইউরিনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেবো। ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করবো না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেবো।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কবে আসবেন, ডেটটা দেন না। ডেট দেন, লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। আমরা প্রস্তুত। মেয়র আতিকুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ডেঙ্গু থামছে? মেয়র সাহেব নকল ওষুধ আনিয়েন না, ভালো ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো। ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমতো মশাকে আঘাত করেন। মানুষ বড় কষ্টে আছে। খাওয়ার কষ্ট থাকবে না। শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম মানুষের কথা চিন্তা করে। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেশি, কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মরেছে? শেখ হাসিনা মানুষের জন্য আছেন। কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। আমি খাবো না তবু মানুষকে খাওয়াবো। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, যত গর্জে তত বর্ষে না। এদেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন বানচাল করতে কেউ বোমা মারতে এলে সেই হাত ভেঙে দেয়া হবে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে আসবে, তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক আছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম বিএনপি’র উদ্দেশ্যে বলেন, বিদেশে যাদের দালালি করেন, কোনো লাভ হবে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। আমরা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে দেবো না। আমরা সন্ত্রাস চাই না, জঙ্গিবাদের উত্থান চাই না। দেশের গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষা করে বাংলাদশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে টেকনিক্যাল মোড়, কল্যাণপুর হয়ে শ্যামলীতে শেষ হয়।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ