রাজনীতি

নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না-কাদের

  প্রতিনিধি ১৫ নভেম্বর ২০২৩ , ১১:৪৯:৩৪

শেয়ার করুন

আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভোটের তারিখ জানিয়ে তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়ে বিএনপির ভোট বর্জনের ঘোষণার প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা ‘নির্বাচনী ট্রেনে’ না উঠলে কিছু করার নেই।

বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে ৭ জানুয়ারি ভোট ও ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় জানিয়ে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচনকারীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়ে আন্দোলনে থাকা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এর পরপর এর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘ঘোষিত তফসিলে কোনো নির্বাচন হবে না।

তবে আওয়ামী লীগ তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি মিছিল করেছে জেলায় জেলায়। সেখানে স্লোগান দেওয়া হয় ‘৭ জানুয়ারি সারা দিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’।

২০১৩ সালেও দুই প্রধান দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের মধ্যে নির্বাচন হয় বিএনপি ও তার মিত্রদের ছাড়াই। তাদের অবরোধ ও হরতালে ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে ভোট করে ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ।

সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্মেলনে এসে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা (বিএনপি) না উঠলে (ভোটে না এলে) আমরা কী করব? নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। নির্বাচনে ট্রেনে আপনি উঠবেন না, আপনি না উঠলে ট্রেন কি থেমে থাকবে?”

নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এর বিকল্প কী করার আছে?”

গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ‘চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নকে’ ত্বরান্বিত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী সময় মত নির্বাচন হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা দেশের সব ভোটারকে বলব, স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশ নিয়ে এই নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন।”

এবারের নির্বাচনে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত ব্যাপার। তবে জাতীয় পার্টির সম্পর্কে শেষ বিষয়টা শুনতে একটু সময় অপেক্ষা করেন, বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ভেতরে অনেক খবর আছে।”

তফসিল ঘোষণার আগে আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে তিন প্রধান দলকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, “সিইসির বক্তব্য এবং ডনাল্ড লুর চিঠি… এই দুটি বিষয়ে আলাদা। নির্বাচনের জন্য সংলাপ করতে হবে, এই কথা ইসির বক্তব্যে নেই। আর এটা থাকারও কথা না।”

সকালে এক আলোচনায় সংলাপ নাকচ করে বক্তব্য রাখলেও সন্ধ্যায় তিনি বলেন উল্টো কথা। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় সংলাপ অপরিহার্য। সংলাপের বাস্তবতাকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না।

“বিএনপির সঙ্গে দুইবার সংলাপ হয়েছে। সংলাপ করিনি, তা তো নয়। এবারও তো প্রেসিডেন্ট ডেকেছিলেন, তারা আসেনি, নির্বাচন কমিশন ডেকেছে, তারা আসেনি। সংলাপ এক পক্ষ চাইলে হবে না, সবাইকে চাইতে হবে।”


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content