প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০২৩ , ১০:১৯:১৯
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে প্রায় ৩২৯ টন চাল উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে মুক্তাগাছা থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ হয়।
উধাও হওয়া চালের বাজারমূল্য পৌনে দুই কোটি টাকা।
ঘটনায় অভিযুক্ত মুক্তাগাছা উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শাকিল আহমেদকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মুক্তাগাছা থানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শাকিল আহমেদ বর্তমানে পলাতক আছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শাকিল আহমেদ ২০২১ সাল থেকে মুক্তাগাছা উপজেলা খাদ্যগুদামে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বদলি করা হয়। মুক্তাগাছায় তাঁর স্থলে যোগ দেন সাইফুল ইসলাম। তবে নতুন কর্মকর্তাকে শাকিল আহমেদ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি।
গুদামের চাবিও বুঝিয়ে দেননি। এভাবে চলে যায় বেশ কয়েক দিন। তাঁর মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে গুদামের কার্যক্রম শুরু করার জন্য ২২ অক্টোবর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি খাদ্যগুদামের তালা ভেঙে ২৫ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকদের সহায়তায় পুরো গুদামের চাল পরিমাপ করে। ২০ নভেম্বর এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তাগাছা উপজেলা খাদ্যগুদামের ৩২৮ টন ৯৮০ কেজি চালের কোনো হদিস পায়নি তদন্ত কমিটি। ওই চালের দাম এক কোটি ৭০ লাখ ৭২ হাজার ২৮২ টাকা।
এদিকে এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তাগাছা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী গত মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় শাকিল আহমেদকে।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, ‘অভিযুক্ত শাকিল আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।