প্রতিনিধি ৬ নভেম্বর ২০২৩ , ৮:০৯:৫৬
বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরও একটি রাষ্ট্র তার স্থায়ী কোন নির্বাচন কাঠামো তৈরী করতে পারেনি। প্রতিবার নির্বাচন এলেই রক্তপাত, হানাহানি, মারামারি এবং বিশ্ব মোড়লদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে যায়। ব্যাপারটি লজ্জাজনক।
মূল সমস্যা হচ্ছে— বড় দু’টি রাজনৈতিক দলের নিজেদের মধ্যকার দূরত্ব। তাদের পারস্পরিক বিরোধ এতোটাই প্রকট যে, কেউ কাউকে এক বিন্দু ছাড় দিতে নারাজ। দু’পক্ষই একে অপরকে নাকচ করে দেয় এবং সার্বক্ষণিক দোষারোপ করতে থাকে। কেউ কারো অবদান স্বীকার করতে চায় না। রাজনৈতিক শিষ্টাচারের কোন ঐতিহ্য আর নিজেদের মাঝে অবশিষ্ট নেই। নেই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ছিঁটে-ফোঁটাও। নতুন প্রজন্ম এসব দেখে দেখে ক্লান্ত, বিরক্ত। তারা এসবের অবসান চায়। সেটা কি ওনারা টের পান?
নিজেদের সংকট নিজেরাই বসে সমাধান করুন। নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান করতে পারলে তৃতীয় পক্ষ কোন সুযোগ নিতে পারবে না। ছাড় দেয়ার মানসিকতা তৈরি করুন। দয়া করে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিন। ভয়াবহ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আগেই সর্বসম্মত একটি সিস্টেম ডেভেলপ করুন এবং সেটা সবাই মেনে নিন।
ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও কোন সমাধান নয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ। জনমনে দেখা দিচ্ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। প্রিয় মাতৃভূমির এমন সংকটাপন্ন চিত্র আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। এ পরিস্থিতিতে পারস্পরিক সমঝোতা এবং বোঝাপড়াই পারে উত্তরণের পথ দেখাতে। প্রয়োজন শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছার। বাংলাদেশ অনেক সম্ভাবনাময় একটি দেশ। আভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ সম্ভাবনাকে যেন আমরা নষ্ট না করি।
তাই, দয়া করে সহনশীল হোন, সমঝোতায় আসুন এবং সংঘাতের পথ পরিহার করুন। নিজেদের জেদ আর একগুয়ে মনোভাবের কারণে দেশকে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিবেন না। প্লিজ একসাথে বসুন, কথা বলুন, সমাধানের উপায় খুঁজে বের করুন। একে অপরের প্রতি এতো অবিশ্বাস ও অনাস্থা থাকলে কোন সমাধানে আসা সম্ভব হবে না। সহনশীলতা ও সহাবস্থানে দু’দলেরই ভালো হবে। দেশের মঙ্গল হবে। এভাবে আর কতো?
Mizanur Rahman Azhari