জাতীয়

জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিশৌধে মানুষের ঢল

  প্রতিনিধি ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১১:৫৬:২৬

শেয়ার করুন

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার  সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান। জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন, পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তারা মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে জন সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিশৌধের গেইট। একে একে সিরিয়াল ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা মুজিব পরিষদের সভাপতি শামসুল হক বলেন, লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বিজয় নিয়ে নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। এখনো এই দেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করবো বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তিতে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

অপরদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে আসা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন রেজা বলেন,যে মুক্তিযোদ্ধা করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম তার মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র, সেই গনতন্ত্রই এখন অনুপস্থিত। একটা সৈরাচারি সরকার জনগণের মাথার উপর চড়ে বসে আছে। সৈরাচারের সর্বশেষ পর্যায়ে নেমে গেছে। যারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মারা আমাদেরকে অভিশাপ দিচ্ছে এজন্যই কি আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম! আমি বিজয়ের ৫৩ তে এগিয়ে চলার প্রত্যায়ে চাই গণতন্ত্র মুক্ত হোক। সকলের বোধদয় হোক।


বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতি জুনায়েদ সাকী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনাটা হচ্ছে কয়েকটা বিষয়। তার মধ্যে গনতন্ত্র, ভোটাধিকার। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসেও দেশে গনতন্ত্র নেই,ভোটাধিকার নেই তাই সেই স্বাধীনতার পেয়ে লাভটা কি।
গাজিপুর থেকে ছোট নাততিকে নিয়ে স্মৃতিশৌধে এসেছেন দাদা হাবিবুর রহমান তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই বাচ্চাদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে আসি। যে কষ্টের মাধ্যমে এই দেশ আমরা পেয়েছি, তা যেন পরবর্তী প্রজন্মও বুঝতে পারে।’

মহান বিজয় দিবসে এই পরিবারের মতো হাজারো মানুষ আজ শনিবার সকাল থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসছে। পরাধীনতা ঘোচাতে জাতির যে বীর সন্তানেরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, কৃতজ্ঞ জাতি স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে, নীরবতা পালন করে তাঁদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে।

১৯৭১ সালের এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে। স্বাক্ষর করেছিল পরাজয়ের সনদে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়ের দিনে আনন্দের পাশাপাশি বেদনাও বাজে বাঙালির বুকে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করেছে জানা-অজানা সেসব শহীদকে।

মোঃ আব্দুল কাদের/হক_কথা


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content