আওয়ামিলীগ

বিরোধী দলের যারা সন্ত্র‍াসী তাদের শাস্তির অধীনে আনা হচ্ছে:পররাষ্টমন্ত্র‍ী

  প্রতিনিধি ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:৩৬:৩৬

শেয়ার করুন

নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি-নির্যাতন ও জেলে আটকে রাখা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ নাকচ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মন্ত্রীর দাবি বিরোধী দলের যাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে তারা সবাই সন্ত্রাসী। ছবি, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কারণে একজনকেও হয়রানি করা হচ্ছে না। যারা সন্ত্রাসী, মানুষের বাড়িঘর জ্বালায়, সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ বিশেষ করে বাস, ট্রেন, ট্রাক জ্বালাতে গিয়ে ধরা পড়ছে বিশেষ করে মানুষকে পোড়াচ্ছে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত রয়েছেন তাদের উচিত তা এখনই পরিহার করা। আমি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছে ৬টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি বিশেষ করে নাগরিক সমাজের স্থান সংকুচিত হয়ে আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রবার্ট এ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস-এর ওয়েবসাইটে প্রচারিত ৬ সংগঠনের যৌথ ওই বিবৃতিতে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহার, খেয়ালখুশিমতো আটক অধিকারকর্মী এবং বিরোধীদলীয় সদস্যদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশে মৃত্যু, নির্যাতনসহ ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর পূর্ণাঙ্গ এবং পক্ষপাতহীন তদন্তের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডাটা সুরক্ষা আইনের খসড়াকে পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানানো হয়।

সুষ্ঠু নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রও এটাই চায়। অবাধ ও সুষ্ঠুর সঙ্গে ওয়াশিংটন যুক্ত করেছে সহিংসতামুক্ত। তবে আমরা সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারি না। কারণ এটা নির্ভর করে আমাদের সংস্কৃতি, সকল দল ও নেতৃত্বের আন্তরিকতা ও ইচ্ছার ওপর। যুক্তরাষ্ট্র বন্ধু বলে উপদেশ দেয়। উপদেশ ভালো হলে আমরা গ্রহণ করি। বাস্তবসম্মত না হলে আমরা উপদেশ গ্রহণ করি না, আর এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র রাগ করে না।

নির্বাচনের আগে বোয়িং উড়োজাহাজ নিয়ে পিটার হাস্-এর দৌড়ঝাঁপের খবর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রস্তাবটি অনেক দিন আগের। বাংলাদেশ বোয়িং কিনতে চাইছে, কারণ আমাদের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ তার বিমানের বহরে কিছু বৈচিত্র্য আনতে চায়, তাই ১০টি এয়ারবাসও কিনবো। ১০টি এয়ারবাস কেনার খবর বের হলে তারা সস্তায় বোয়িং বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনাবেচার সঙ্গে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য কোনো বিষয় জড়িত কিনা? এমন প্রশ্নে ড. মোমেন বলেন, কেনাবেচা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ নিয়ে সব দেশেরই অনুরোধ থাকে। আর অনুরোধকে আমরা কখনো চাপ মনে করি না। ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে টানাপড়েন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, না, এখন আর আমাদের মধ্যে কোনো টানাপড়েন নেই।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content