প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:০০:০৪
পার্থ টেস্টের প্রথম দিনটা রাঙিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। বিদায়ী টেস্ট সিরিজ খেলতে নেমে ‘বুড়ো হাড়ে ভেলকি’ দেখিয়ে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৬ তম সেঞ্চুরি। ২১১ বলে ১৬৪ রানের অনবদ্য এক ইনিংসের পর প্রথম দিন শেষে উড়ছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। তবে আজ দ্বিতীয় দিনে এসে সব আলো যেন কেড়ে নিলেন পাকিস্তানের হয়ে এই টেস্টে অভিষেক হওয়া আমের জামাল। আগের দিন দুই উইকেট পাওয়া জামাল আজ তুলে নিলেন আরও ৪ উইকেট। আজকের দিনে অস্ট্রেলিয়ার পতন হওয়া ৫ উইকেটের ৪টিই দখলে নিয়েছেন জামাল।
অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে ৪৮৭ রানে অলআউট করার পর পাকিস্তান দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ১৩২ রানে। ইমাম–উল–হক অপরাজিত আছেন ৩৮ রানে, সঙ্গে খুররম শাহজাদ টিকে আছেন ৭ রানে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এখনো ৩৫৫ রানে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান।
ওয়ার্নার শো’তে পার্থ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে ৫ উইকেটে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৩৪৬ রান। দ্বিতীয় দিনে যোগ করতে পেরেছে আরও ১৪১ রান। এদিন অস্ট্রেলিয়াকে পথ দেখিয়েছেন বলতে গেলে মিচেল মার্শ। যদিও সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও ফিরে গেছেন ব্যক্তিগত ৭৫ রানে। মার্শের লড়াকু ব্যাটিংয়ের পরও দিনের সবচেয়ে বড় ছবিটা আমের জামালের।
অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমে ক্ষুরধার বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১১১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ফিরিয়ে আনলেন ৫৯ বছর আগের স্মৃতি। তার আগে টেস্ট অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছিল পাকিস্তানের আর কেবল একজনের। ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে মেলবোর্নে ৮৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন আরিফ বাট।
এ ছাড়া সব দেশ মিলিয়ে সফরকারী বোলার হিসেবে অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে আর কেবল একজন বোলারের। ১৯৬৭ সালে অ্যাডিলেইডে ৬৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের পেসার সৈয়দ আবিদ আলি।
জামালের কীর্তিতে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচশোর আগেই থামানোর পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেছিলেন দুই পাক ওপেনার। আবদুল্লাহ শফিক ও ইমামের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়েই নেমেছেন তারা। যেমন চিন্তা তেমন কাজ, দেখেশুনে খেলে ভালোই এগোচ্ছিলেন দুই ব্যাটার।
তৃতীয় সেশনের এক পর্যায়ে লক্ষ্যচ্যুত হন শফিক। লায়নকে উইকেট বিলিয়ে দেন। এগিয়ে এসে খেলতে গেলে বল তার ব্যাট হয়ে শর্ট লেগে ওয়ার্নারের হাতে চলে যায়। ১২১ বলে ৪২ রান করা শফিকের আউটে থামে ৩৬.২ ওভার স্থায়ী ৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তিনে নেমে অধিনায়ক শান মাসুদ রান করায় মনোযোগী হন। মিচেল স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামে তার ৩০ রানের ইনিংস। শেষবেলায় নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামেন খুররম শাহজাদ। দিনের শেষ ২১ বলের ১৮টি খেলে ৭ রানে অপরাজিত এই ডানহাতি বোলার। ইমাম ১৩৬ বল খেলে ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন।