জাতীয়

জ্বালাও-পোড়াওকারীদের ‘না’ বলুন : প্রধানমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১:৪৪:০১

0Shares

শেয়ার করুন

আন্দোলনের নামে সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াওকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা জ্বালাও পোড়াও করে, রেল লাইনের স্লিপার তুলে ফেলে, এরা পরাজিত শক্তির দালাল; পরাজিত শক্তির দোসর। এদের ‘না’ বলুন। এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‌স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে। তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে, শান্তিতে বাস করবে, উন্নত জীবন পাবে— সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, রেল লাইন থেকে বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যা করে, এরা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে কোন মুখে? হত্যাকারীরা কখনো গণতন্ত্র দিতে পারে না। এটা দেশের মানুষকে বুঝতে হবে।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে বাস আছে, রেললাইন আছে; যেখানে এরকম (রেলপথ তুলে ফেলা) ঘটনা ঘটবে, সাথে সাথে যদি জনগণ মাঠে নামে তাহলে এরা হালে পানি পাবে না। এরা ধ্বংস করতে পারে, মানুষের জন্য সৃষ্টি করতে পারে না; এরা মানুষকে খুন করতে পারে, মানুষের জীবনে শান্তি নিরাপত্তা দিতে পারে না; এরা মানুষের সর্বনাশ করতে পারে, মানুষের জীবনটা উন্নত করতে পারে না। কাজেই তাদের কাছ থেকে সাবধান। আর কোথাও যদি এই ধরনের রেলের স্লিপ তুলে ফেলে, আগুন দেয়; যখনই করতে যাবে সরাসরি তাদের ধরতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিদেশে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্মানটা দিতে পারে না আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্গার। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর দোসর যারা ছিল, এরাই তাদের প্রেতাত্মা হয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে হত্যা করে যাচ্ছে। হত্যার পরিকল্পনা করছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল। এক বার নয়, দুই বার বিদায় নিতে হয়েছিল। খালেদা জিয়া ৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদ ও হুদাকে এমপি বানাল; পার্লামেন্টে বিরোধী দলের নেতার আসন দিল। ফারুককেও চেষ্টা করেছিল নওগাঁ থেকে জিতিয়ে আনতে, সেটা পারে নাই। খালেদা ঘোষণা দিল যে সে দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। বেশি দিন ক্ষমতায় বসতে পারেনি, ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হলো, ৩০ মার্চ জনগণের রুদ্ররোষে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করে বিদায় নিয়েছিল সে।


শেয়ার করুন

0Shares

আরও খবর

Sponsered content