পোলাও খেতে না পারলেও দেশের দরিদ্ররা পাঙ্গাস মাছ, ভাত-ডাল খেতে পারছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি হোটেলে সরকারি গবেষণা সংস্থা বিআইডিএসের তিনদিনের কনফারেন্সের উদ্বোধনী সেশনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।
প্রথম দিনের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম ও শহরে বসবাসরত সুশীল সমাজের আলোচনায় গণতন্ত্র ও সুশাসন শব্দগুলো ভেসে বেড়ায়। কিন্তু গ্রামে বসবাসরত নাগরিক সমাজ এসব নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নয়। গ্রামে বসবাসরত দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ আরও উন্নয়ন অর্থাৎ টিউবওয়েল, টয়লেট, ওষুধ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চায়। নাগরিক সমাজ ও গ্রামীণ ভোটারদের আলোচনায় এমন বিস্তর ফারাক নিয়ে অস্বস্তি বোধ করেন বলেও জানান তিনি।
এমএ মান্নান বলেন, সুশীল সমাজ ও গ্রামীণ মানুষের আলোচনার এই বিস্তার ফারাক আমাকে তাড়িত করে। স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয় না। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ এবং সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থেকে দেশ দুটিকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখানে কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে স্বৈরাচারী বলা হয়। কিন্তু কীভাবে ক্ষমতায় থাকা হয় তা বলা হয় না।
তিনি বলেন, আমরা কোনো বৈপ্লবিক সরকার নই। তবে মন্দের ভালো আমরা।
বৈষম্য বেড়েছে সত্যি। কিন্তু দরিদ্রের অবস্থাও উন্নত হয়েছে। তাদের বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে। নিরাপদ পানি পাচ্ছে। পোলাও না খেতে পারলেও পাঙ্গাস মাছ, ভাত-ডাল খেতে পারছে।
শ্রমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে পশ্চিমাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় কেন মানুষ কজের জন্য যেতে চাইলে বাধা দেয়া হবে? কারা সম্পদ লুণ্ঠন করে কাঁটাতার দিয়েছে এসব প্রশ্ন করা উচিত।
চীনের আদৌ পতন হবে কিনা- এমন প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, বলা হচ্ছে চীনের উত্থান নিচের দিকে পড়ে যাবে। কিন্তু আদৌ কি তাই হবে? কারণ আমরা ৯০ এর দশক থেকে উত্তর কোরিয়ার কথা শুনে আসছি। তারা নাকি খেতে পায় না। কিন্তু আমরা দেখছি তারা তো খেয়ে পরে ভালোই আছে।
গণতন্ত্র, ন্যায্যতা ও স্বাধীনতাকে ‘বাই প্রোডাক্ট’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মূল বিষয় হলো লাইফ। আমরা যদি উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে ওসব এমনিতেই এসে পড়বে।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ