প্রতিনিধি ১ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:২৫:৩১
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপিসহ ৩৯টি বিরোধী রাজনৈতিক দল।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক যৌথসভায় দলগুলোর নেতারা এই দাবি জানান।
নেতারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছি। অথচ সরকার গণদাবিকে উপেক্ষা করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একতরফা নীলনকশার নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। সরকারের এই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। পাতানো এই নির্বাচনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এই নির্বাচনের তফসিলকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
তারা আরও বলেন, আমরা অনতিবিলম্বে ৭ জানুয়ারি ঘোষিত নির্বাচনি তফসিল বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি মুহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, এলডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. নেয়ামুল বশির, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের ভাসানী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্য জোটের অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সদস্য সচিব ফারুক হাসান, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরকার চাখারী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর, জাস্টিস পার্টির প্রেসিডেন্ট জাভেদ সালাউদ্দিন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাসিম খান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড ডা. নুরুল ইসলাম এবং ডিএলের সভাপতি খোকন চন্দ্র দাস।