প্রতিনিধি ১২ জানুয়ারি ২০২৪ , ১:২০:৪৮
আমি যেই ডরমিটরিতে থাকি সেখানে নাকি গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন প্রবাসী শ্রমিক আত্মহত্যা করেছে। আবার অনেকেই বলছে আমার বিপরীত পাশের ডরমিটরিতে এই ডরমিটরির চেয়ে আরও বেশী লোক আত্মহত্যা করেছে! সত্য মিথ্যা জানিনা তবে তাদের সাবলীল ভাষায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান আমার ভিতরটা কাঁপিয়ে তুলে।
আহা কত সহজেইনা মানুষ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নেয়। আমি এখনো মেলাতে পারিনা কতটা কষ্টের সমষ্টি একজন মানুষকে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্তে ঠেলে দেয়। কেনো তারা এভাবে আত্মসমর্পণ করে।
একজন যুবক যখন প্রবাসমুখি হয় তখন হাজারটা স্বপ্ন তার অন্তরে লুকিয়ে থাকে। পরিবারের প্রতিনিধি হয়ে এই স্বপ্নের শহরে তারা নতুন জীবন শুরু করে। কত কস্ট কত ত্যাগ তিতিক্ষায় কাটে সময়। কত রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই যান্ত্রিক শহরে নিজেকে সয়ে নিতে হয়। অথচ সেই যুবকই কিনা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জানিনা কষ্টের তীব্রতা কতটা প্রকট হলে এই সুন্দর পৃথিবীটাকে অসুন্দর মনে হয়। কতটা নির্মম হলে রক্তের বাঁধনকে ছিন্ন করে চলে যেতে মন চায়।
শরীফ, সিঙ্গাপুর।