দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি। আর মাত্র একদিন পরই নির্বাচন। নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অর্ধশতাধিক প্রার্থী। এদের অধিকাংশ জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী। শুধু জাতীয় পার্টির নয়, ভোটের মাঠ ছাড়ছেন বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের অনেকে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে দলের হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলেছেন, জাতীয় পার্টির এককভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা থাকলেও ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কিছু আসনের সমঝোতা করে বাকি প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
কেউ কেউ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে আর্থিক সংকট, কেউ পারিবারিক নানা সমস্যার কথা বলেছেন। কেউ কেউ আবার অন্য প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনের মাঠ ছেড়েছেন।
জাতীয় পার্টির চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জাতীয় পার্টির রবিউল ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। দুই নেতাই বলেছেন অর্থসংকটের কথা। পাশাপাশি ক্ষোভ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কর্মকাণ্ডে।
দিনাজপুর-২ আসনে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. মাহবুব আলম। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান বলে জানান তিনি। তাইতো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেছেন নাটোর-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মৃধা। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি, অন্যান্য আসনে জেলা জাতীয় পার্টির মতের বাইরে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তার। নানা বিষয়ে দলের হাইকমান্ডের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।
ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গাইবান্ধা-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার। তিনি নির্বাচনি ক্যাম্প আগুনে পোড়ানো, কর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর, প্রশাসনের অসহযোগিতা, কর্মীদের মারধর ও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রতি জনগণের আগ্রহ নেই দাবি করে নির্বাচন থেকে সরে গেলেন যশোর-৫ (মনিরামপুর উপজেলা) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এ হালিম।
বরিশাল-২ ও বরিশাল-৫ আসনে ভোটের মাঠ থেকে সরে গেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। তিনি দলের শীর্ষ নেতাদের দায়ী করে বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন দিচ্ছে। তাহলে বাকি আসনে পার্টির মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচন করে লাভ কী? তিনি দাবি করেন, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এ কারণেই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন।
বরগুনা-১ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, ২৬টি আসন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সমঝোতা করায় এখন আমরা ভোটারদের সামনে যেতে পারছি না। ভোটাররা আমাদের বিশ্বাস করেন না। তাই ভোটের মাঠ ছেড়েছি।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ। তিনি বলেন, নির্বাচন সাজানো এবং ভাগাভাগির নির্বাচন। একপেশে, টাকার খেলার সহিংস নির্বাচন। প্রতিপক্ষ আমাকে মাঠে থাকতে দিচ্ছে না। প্রশাসনও কোনও সহযোগিতা করছে না। তাই বিবেকের তাড়নায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া টাঙ্গাইল-৭ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে এনেছিল তারা তাদের সে কথা রাখেনি। এখানে নির্বাচনের পরিবেশ নেই।
গাজীপুর-১ ও ৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন বলেন, মূলত আমি আর পারছি না, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।সরকারের একতরফা নির্বাচন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছি। সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও কোনও আলোচনা হয়নি।
ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের জাপার প্রার্থী মো. সামসুদ্দিন খান। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ঘোলাটে। বিভিন্ন চাপ আছে, হুমকিও আছে। সেই চাপ সামলানোর মতো শারীরিক বা মানসিক শক্তি নেই। সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে গেলেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচনে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, কারণ তিনি অসুস্থ, জরুরি চিকিৎসা নিতে যাবেন।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনের জাপার প্রার্থী মান্নান তালুকদার। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি এটা আসন ভাগাভাগি ও প্রহসনের নির্বাচন।
সিলেট-৫ আসনের জাপা প্রার্থী সাব্বির আহমেদ ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকার কারণ দেখিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ভোট প্রত্যাখ্যান করলাম।
হবিগঞ্জ-২ আসনে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাপা মনোনীত প্রার্থী শংকর পাল। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, কৌশল আছে, কৌশল আছে। তারা কী কৌশল যে করে!, ২৬টা আসন লইয়া তারা কৌশল করতেছে, আর আমরারে সাগরে ভাসায় দিসে।
নির্বচনের মাঠ ছেড়েছেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচনি আসনে ৮০ ভাগ এলাকায় তার লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। কর্মী, পোলিং এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কালো টাকার এমন ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে নিশ্চিত হয়ে গেছি, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে না।
এছাড়া ভোটের মাঠ ছেড়েছেন কুমিল্লা-২ আসনের এ টি এম মঞ্জুরুল ইসলাম, গাজীপুর-২ আসনের জয়নাল আবেদীন, নওগাঁ-২ আসনের মো. তোফাজ্জল হোসেন ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী জাকির হোসেনসহ আরও কয়েকজন।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ জাতীয় পার্টির ১৪ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এককভাবে ভোট করার কথা থাকলেও সরকারের সঙ্গে আসন সমঝোতা হওয়ায় এই ১৪ প্রার্থী নির্বাচনের মাঠ ছেড়েছেন।
অবশ্য এর আগে ১ জানুয়ারি জি এম কাদের রংপুরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তখন বলেন, জাতীয় পার্টির কোনও প্রার্থী যদি নির্বাচন করতে না চায়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা প্রার্থীর রয়েছে।
এদিকে নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানাকে সমর্থন দিয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাঈদ শামিম এবং হুকুম আলী খান। রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানীকে সমর্থন জানিয়ে সরে গেছেন। ঝিনাইদহ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট থেকে সরে গিয়ে সাবেক এমপি নবী নেওয়াজ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজীকে সমর্থন দিয়েছেন।
নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন যশোর-২ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব। নিজ দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরেছেন যশোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি রণজিৎ কুমার রায়।
নড়াইল-২ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে শতভাগ সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত শাহজাহান ওমরকে চ্যালেঞ্জে ছুড়ে দিলেও শেষ সময়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে গেলেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর, কাঁঠালিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম মনিরুজ্জামান মনির। সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণের কথা উল্লেখ করেন তিনি ।
নেত্রকোনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীকে সমর্থন দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফতাব উদ্দিন।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ফুলকপি প্রতীক) মোর্শেদুজ্জামান সেলিম, হবিগঞ্জ-১(নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ (ঈগল প্রতীক), যশোর-৪ আসনে বিএনএম প্রার্থী সুকৃতি কুমার মণ্ডল, চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনএমের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামছুল আবেদীন নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। এর বাইরে সিরাজগঞ্জ-৫ (চৌহালী-বেলকুচি) আসনের বিএনএম প্রার্থী আব্দুল হাকিম স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর মামুনকে সমর্থন দিয়ে তিনি ভোটের লড়াই থেকে সরে গেছেন।
অবশ্য প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর আইনগতভাবে ভোট ছেড়ে দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এ সময় ভোট ছাড়লেও ব্যালটে তাদের প্রতীক থাকবে। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে বৈধ প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন। এমনকি ভোটের মাঠ ছেড়ে দেওয়া কেউ যদি বিজয়ী হন—আইনত সেটা বৈধ হবে। ফলে শেষ মুহূর্তে সরে গেলেও নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না।
উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেলেও আওয়ামী লীগের সাথে যে ২৬টি আসনে সমঝোতা হয়েছে সেখানকার কেউ নির্বাচন থেকে সরেনি। তারা সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে রয়েছেন। তাদের অনেকে নিজেদের পোস্টারে ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৯৭০ জনের মত প্রার্থী। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৬ জন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬ জন। জাতীয় পাটির ২৬৫ , তৃণমূল বিএনপির ১৩৫ , ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ , বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের মোট প্রার্থী এক হাজার ৫৩৪ জন। এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ জন নারী প্রার্থী ও ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থী ।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ