প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যা খুবই দুঃখজনক। আমাদের সবার উচিত তাদেরকে সহায়তা করা। গাজায় যা চলছে, আমি মনে করি এটি গণহত্যা। এর বিরোধিতা করতে হবে। এ ধরনের গণহত্যাকে আমি কখনও সমর্থন করি না। গণহত্যা এই আগ্রাসন এবং যুদ্ধ থামানো প্রয়োজন। তাদের বাঁচার অধিকার রয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কিছু সহায়তা পাঠিয়েছি। আমি বিশ্বের সবাইকে ফিলিস্তিনের শিশু, নারী ও সাধারণ জনগণকে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। নিরাপত্তা সম্মেলনে (এমএসসি) যোগ দিতে সেখানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্ব ও জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা।
১৯৬৭ সালে ফিলিস্তিনের সীমানা নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটি স্পষ্ট যে, ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র পাওয়ার অধিকার রাখে। ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘের দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠন করা প্রয়োজন।
এর আগে জার্মানির মিউনিখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, বৈঠকের পর এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা ইউক্রেনের শান্তির ফর্মুলা ছাড়াও বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। সেই ফর্মুলা বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ এবং বৈশ্বিক শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ