প্রতিনিধি ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১১:১৬:৪৬
সিঙ্গাপুরের নিকোল হাইওয়েতে গ্যাং ডাকাতির একটি মামলায় গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ৬জন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্র-Stomp
পত্রিকাটি থেকে জানা যায়,তাদের বয়স ৩০-৩৯ বছর হবে।তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশী নাগরিক।
পুলিশ বলেছে যে, তারা এই মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নিয়ে ছিল।উল্লেখ মামলার পর পুলিশ সর্তকতার সহিত পর্যবেক্ষণ করেন, যে স্থানটিতে একজন ৩৮ বছর বয়সী ব্যক্তিকে সন্ধ্যা ৭:৫৪ মিনিট এর দিকে ছয়জনের দল এক হয়ে, লাঞ্ছিত ও ছিনতাই করার অভিযোগ হয়েছে।
ভুক্তভোগীর নগদ সিঙ্গাপুরের ডলারসহ হ্যান্ডফোন ছিনতাই করা হয়েছিল।ভুক্তভোগীর কাছে থেকে মোট প্রায় ৮৬০ ডলার, তার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল।
প্রতিবেদনের পর, বেদক পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যাপক ফলোআপ তদন্ত পরিচালনা করেন এবং ছয়জনের পরিচয় জানতে পারেন।
তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং চুরি হওয়া ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারী পাঁচজন লোককে গ্যাং ডাকাতির অভিযোগে আদালতে অভিযুক্ত করা হবে, যার জন্য ৫ বছর থেকে ২০ বছরের জেল এবং কমপক্ষে ১২টি বেতের আঘাত রয়েছে৷
ষষ্ঠ ব্যক্তি আরও তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে সহায়তা করবে।
সিঙ্গাপুর পুলিশ বলেছে যে তারা এই ধরনের নির্লজ্জ অপরাধকে বরদাস্ত করবে না।তারা আরও বলেন, এই ধরনের অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে এবং আইন অনুযায়ী তাদের সাথে মোকাবিলা করতে কোনো প্রচেষ্টাই ছাড়বে না।
এ দিকে উক্ত ছিনতাইয়ের ঘটনায় সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত প্রবাসীগন তীব্র নিন্দা ও ধীক্কার জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে চাকুরী করেন,টাঙ্গাইলের শাহাদাত হোসেন তিনি বলেন ৬ জন ব্যক্তির জন্য আমরা সকল বাংলাদেশী ভুক্তভোগী।এমনিতেই বাংলাদেশী শ্রমিক সিঙ্গাপুরে আনতে অনিহা, তার উপর এমন ঘটনা,জনশক্তি রপ্তানির জন্য হুমকি স্বরুপ।
অন্য একজন প্রবাসী সিরাজগঞ্জ জেলার কে এম আবু সাইম বলেন-সিঙ্গাপুরে অপরাধ করে কেউ রেহাই পান না।তবুও এরা কেনো এমন করে বুঝি না।তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক।ভবিষ্যতে কোন বাংলাদেশী এমন ঘটনা যেনো আর না ঘটায়।বাংলাদেশের সম্মান নষ্ট করেছে তারা।
উল্লেখ্য যে,একজন বাংলাদেশি নাগরিক যিনি পূর্বেও মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন।তিনি ১০,০০০ ডলার মুচলেকা দিয়ে জামিনে মুক্ত ছিলেন।
তার নাম প্রামাণিক শামীম, ৩০, এখন মাদক সেবন, মাদক সংক্রান্ত মামলা এবং ডাকাতির প্রতিটির একটি করে অভিযুক্ত।
তিনি এর আগে মেথামফেটামিন সেবন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে এবং ১৮ মে, ২০২৩ এর আগে বা তার আগে ড্রাগের জন্য একটি কাচের পাত্র তার কাছে ছিল বলে জানা গেছে।
প্রামাণিককে ২০২৩ সালে আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছিল এবং পরে জামিনে মুক্তিও পান।
তিনি ১২ ফেব্রুয়ারী তার অন্য চারজন বাংলাদেশীর সাথে গ্যাং-গ্রুপ তৈরি করে আবারও অপরাধে যুক্ত হোন।তার সাথে থাকা বাকীদেী নাম—সরকার সুমন, ৩০; শিক মোঃ কাওসার, ৩৩; মামুন আল, ৩৩; এবং উল্লাহ আহমেদ, ৩৫ এক ৩৮ বছর বয়সী।