প্রতিনিধি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ২:০৮:৩০
ভূরাজনৈতিক জটিলতার কারণে ২০২৩ সালে বৈশ্বিক ব্যবসা খাতের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন। এ সময় বিদেশী বিনিয়োগও ছিল নিম্নমুখী। তবে এরই মধ্যে সিঙ্গাপুর ১ হাজার ২৭০ কোটি ডলারের স্থায়ী সম্পদ বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন বোর্ড (ইডিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
২০২২ সালে এ বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৫০ কোটি ডলার। এর তুলনায় ২০২৩ সালের বিনিয়োগ অনেক কম। সংশ্লিষ্টদের মতে সেমিকন্ডাক্টরের চাহিদা কমে যাওয়ায় বিনিয়োগ আকর্ষণ প্রভাবিত হয়েছে। স্থায়ী সম্পদ বিনিয়োগে গত বছর কেমিক্যাল বা রাসায়নিক পদার্থ ৩৫ শতাংশ জায়গা দখলে রেখেছে। এরপর ২৪ দশমিক ২ শতাংশ ছিল ইলেকট্রনিকস খাতে এবং গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ছিল ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
সামগ্রিকভাবে ২০২৩ সালে হাতে নেয়া প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে কয়েক বছরে ২০ হাজার ৪৫টির বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এর মধ্যে পরিষেবা খাতে ৫৮ শতাংশ, গবেষণা-উন্নয়ন ও উদ্ভাবন খাতে ২৬ এবং উৎপাদন খাতে ১৬ শতাংশ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে জানা গেছে।
ইডিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জ্যাকুলিন পহ জানান, অন্যান্য দেশের শিল্প খাতের নীতিমালা আবার কার্যকর হওয়ায় বিনিয়োগে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এছাড়া সুদহার বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগের পাশাপাশি স্টার্টআপগুলোর তহবিল গঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি, তা পূরণের জন্য এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। তবে ব্যবসা থেকে শুরু করে উদ্ভাবন ও দক্ষ কর্মী থাকায় স্থায়ী সম্পদ বিনিয়োগের দিক থেকে আমরা সবার আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছি।’
ইডিবি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ-এশিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সিঙ্গাপুর ভালো বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পেরেছে। তবে চীন ও ভারত থেকে যে পরিমাণ বিনিয়োগ এসেছে তা ২০২২ সালের তুলনায় কম।
সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বোর্ড আরো জানায়, গবেষণা-উন্নয়ন ও উদ্ভাবনসংক্রান্ত কার্যক্রমে বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে।
বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো সিঙ্গাপুরে তাদের উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ায় এ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। সংস্থাটি আরো জানায়, সিঙ্গাপুর থেকে পণ্য উৎপাদনে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো দেশীয় গবেষণা-উন্নয়ন ও এন্টারপ্রাইজ ইকোসিস্টেমের সঙ্গে চুক্তি বাড়াচ্ছে।
আফরান টিপু/হক_কথা