জাতীয়

আশুলিয়ায় ময়লা ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব,পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে মারধরের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১১ মার্চ ২০২৪ , ১১:০৫:৩৬

0Shares

শেয়ার করুন

সাভার উপজেলা প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় বাসা বাড়ির উচ্ছিষ্ট ময়লা পরিষ্কারকারী পরিছন্নতা কর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ডিস ব্যবসায়ী মাসুদ রানা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।গত শনিবার সকালে সাভার ক্যান্টনমেন্টের গলফ ক্লাবের পার্শ্ববর্তী একটি সড়কের উপর এমন ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পরিচালক ও ব্যবসায়ী ইমাম হাসান বলেন, পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের সম্মতিক্রমে বেশ কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের লিখিত অনুমতিক্রমে বাসা বাড়ির মালিকদের সঙ্গে চুক্তির দীর্ঘদিন যাবত বাসা বাড়ির উচ্ছিষ্ট ময়লা পরিষ্কারের কাজ করে আসছি। আমার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন ইউসুফ, টিটুল, বাচ্চু, রাসেল, কাদের সহ বেশ কয়েকজন।
বরাবরের ন্যায় আজও বিভিন্ন বাসা বাড়ির জমিয়ে রাখা ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে ময়লার গুদিতে ফেলতে যাওয়ার সময় পানধোয়ার স্থানীয় সন্ত্রাসী মাসুদ রানা, ফারুক ও ভূয়া সাংবাদিক বিল্লাল চৌধুরীর নির্দেশে ওমর ফারুক, হৃদয়, নাজমুল, হেলাল সহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন ময়লা বহনকারী গাড়ির গতিরোধ করে এবং আমার কর্মীদেরক মারধর করে। মারধরের ঘটনা দেখে লোকজন জড় হতে শুরু করলে ওরা পালিয়ে যায়। আমার ময়নার গাড়ির ড্রাইভার টিটুল গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

প্রায় এক বছর যাবত মাসুদ এবং মাসুদের সহযোগী ফারুক, মমিন, হৃদয় সহ বেশ কয়েকজন আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। কয়েকদিন আগে মাসুদ আমার কাছে মাসিক হারে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আজকে আমার লোকজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

অভিযুক্ত মাসুদ রানার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, মাসুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আগ্নেয়াস্ত্র মামলা, মাদক মামলা, চাঁদাবাজি মামলা রুজুর পাশাপাশি নানা অভিযোগ রয়েছে।

মাসুদ রানা আশুলিয়া থানাধীন পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পানধোয়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা কালু মিয়ার ছেলে। মাসুদ পেশায় একজন ডিস ব্যবসায়ী।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। কিছুক্ষণ আগে এক সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়েছিলো। আমি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। আমি এই ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত না, এটা সুইপারের ব্যবসা! এটা ওদের দুই গ্রুপের ব্যবসা। এটা প্রথমে কুটুরিয়ার বাবু করতো। ওদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব হয়েছে সেটা জেনেছি। এর আগেও ব্যবসা নিয়ে ওদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে সে বিষয়ে অভিযোগ হয়েছে এবং নিউজও হয়েছে। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে। আমি ডাক্তারের কাছে আছি, এখান থেকে বের হয়ে আপনাকে সন্ধ্যার পরে ফোন দেব।

এ ব্যাপারে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) আফজালুল হক বলেন, আমি ট্রিটমেন্ট নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। এখন কি অবস্থা? অভিযোগের কপিটি হাতে পায়নি। আমি ডিউটি করছি, আমার সাথে একটু যোগাযোগ করতে বলেন।


শেয়ার করুন

0Shares

আরও খবর

Sponsered content