ঢাকা

গাজীপুরে বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২৪ , ৯:৪৩:২২

শেয়ার করুন

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম। মঞ্জুরুল করিম রনি বিদেশ বসে সভা পরিচালনা করেন এবং নিরুদ্দেশ থেকেও সব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকেন দুইটি জাতীয় পত্রিকায় এমন খবরের প্রতিবাদ করে শনিবার জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাজীপুর মহানগরের বিএনপির নেতা কর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী জানান, সম্প্রতি দুইটি জাতীয় দৈনিকে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে হেয় করতেই ওই সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে। ওই খবর দুইটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা মহানগর বিএনপি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রকৃতপক্ষে তিনি দেশে থেকেই বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে স্বশরীরে উপস্থিত থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন ২০২৩ সালে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সম্মেলনে, টঙ্গীতে কেন্দ্র ঘোষিত জনসমাবেশ কর্মসূচিতে এবং টঙ্গী সংলগ্ন আব্দুল্লাহপুরে বিএনপির মহাসমাবেশে স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

 

গাজীপুর মহানগর কৃষক দলের আহব্বায়ক মোঃ আতাউর রহমান ও সদস্য সচিব খান জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ‌এক প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, মনজুরুল করিম রনি সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে। একটি চক্র বিগত দিনেও মরহুম অধ্যাপক মান্নানের বিরুদ্ধে পত্রিকার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল ।

এখন তারাই আবার মন্জুরুল করিম রনির জনপ্রিয়তায় এবং সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ আহমদের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মহানগর বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী। এ সময় মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ডক্টর মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান, আহমদ আলী রুশদি, জয়নাল আবেদীন তালুকদার, বাসন থানা বিএনপি’র সভাপতি তানভীর সিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, গাছা থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, কোনাবাড়ী থানা বিএনপি’র সভাপতি ইদ্রিস আলী সরকার, টঙ্গী পূর্ব থানার সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন, পূবাইল থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুল ইসলাম বকুল ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব খান জাহিদুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান রাজু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল হালিম মোল্লা, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি রোহানুজ্জামান শুকুর ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান মিরন উপস্থিত ছিলেন।

তারা বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট ও ড্যামি সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন সংগ্রামে কেন্দ্র ঘোষিত দলের সকল কর্মসূচিতে আমরা মনজুরুল করিম রনির নেতৃত্বে মাঠে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করছি। রনির নামে আট দশটি মামলা রয়েছে। তার ঢাকার বাসভবনে সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু তাকে না পেয়ে বাসা ও অফিস তছনছ করা হয়েছিল। অফিস স্টাফদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার অফিসে ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ জিনিসপত্র সিজ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপরও তিনি বিএনপি’র ঘোষিত নানা কর্মসূচিতে গাজীপুরে সশরীরে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া গত ২৮শে অক্টোবরের পর আন্দোলন সংগ্রাম চলাকালীন সময়ে মহানগর ৮টি থানায় ৪১টি মামলায় ২১৯ জন দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

তাদের পরিবারের সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে সহযোগিতা করছেন এবং তাদের মুক্তির ব্যাপারে আইনজীবী প্যানেল তৈরি করে জামিনের ব্যবস্থা করছেন, যা এখনো চলমান রয়েছে। অতীতে তার বাবা অধ্যাপক এমএ মান্নানকে নিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করতে এখন অধ্যাপক মান্নানের সুযোগ্য উত্তরসূরী মনজুুরুল করিম রনিকে নিয়েও অপপ্রচার করা হচ্ছে। তবে ওই স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনাকারী ও তাদের দোসরদের নীতি বিবর্জিত ষড়যন্ত্র ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

উল্লেখ্য, মনজুরুল করিম রনির নামে সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদপত্রে, লন্ডনে বসে সভা পরিচালনা করেন সহ বেশকিছু প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ এই সংবাদ সম্মেলনে মনজুরুল করিম রনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নিপীড়ন, নির্যাতন ও মামলা-হামলাসহ নানা সমালোচনা তুলে ধরেন।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content