দোষ মই দিয়ে ডিভাইডার পার হওয়া মহিলার নয়, পাঁচ টাকার বিনিময়ে মই ভাড়া দেয়া যুবকটিরও নয়, দোষটি মূলত সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা, পরিকল্পনাবিদ ও প্রশাসনের। তাদের অদূরদর্শিতার ফলে বাধ্য হয়ে পথচারিকে এই রিস্কি কাজটি করতে হচ্ছে। মাথা ঠান্ডা করেন, একটু ভেঙ্গে বলি….
এই ছবিটি দূর থেকে নেয়া। ভালো করে খেয়াল করে দেখুন, এখানে চারটি মুল লেন। মাঝের দুটি ডাইরেক্ট লেন। পাশের দুটি লোকাল লেন। মাঝখানের ডিভাইডার দুটি দেখুন, পাঁচ ফিট উঁচু এবং মাইলের চেয়ে বেশি দীর্ঘ যার মধ্যে কোন পাড়াপাড়ের জায়গা নাই। ভিডিওটি সম্ভবত করা হয়েছিল ফুটওভার ব্রিজ থেকে, মাঝের দুই লেন ছবি তোলার এপাশ দিয়ে সোজা ফ্লাইওভারে উঠে গেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই মাঝের লেন থেকে ঐ ফুটওভার ব্রিজে উঠার কোন সিড়ি নাই। এবার মিলিয়ে নেন সমস্যাটা কোথায় দাঁড়াচ্ছে!
সমস্যাটা দাঁড়াচ্ছে, যখন কোন যাত্রী ডাইরেক্ট লেনের বাসে উঠে শনিরআখড়া বা তার আগের ও পরের স্টেশনে নেমে যায়, তখন সে মিডিলে আটকে যায়। তার আর বের হবার রাস্তা থাকে না। তার তখন দুটি পথ থাকে।
১) তাকে উল্টা রাস্তায় দুই কিলর মত হাটতে হবে, যেহেতু এই লেনে স্পিডে গাড়ি চলে সেহেতু এটা বিপদজনক।
২) পাঁচ ফিট উঁচু ডিভাইডার পাড় হতে হবে। শক্তিশালী পুরুষ মানুষ হলে এভাবেই কষ্ট করে ডিভাইডার পার হয়ে যায়। কিন্তু মহিলা হলে কি করবে? কি করবে বলেন?
ফলে একরকম বাধ্য হয়েই মই নিয়ে এগিয়ে আসছে একজন। বিনিময়ে সে পাঁচ টাকা করে নিচ্ছে। বিষয়টি অবশ্যই অপরাধ, আবার অন্য নজরে দেখলে সে মুলত এগিয়ে আসছে বিপদগ্রস্ত পথচারীদের সহায়তা দিতে।
এবার তাহলে টাকা নেয়ার কথা বলবেন, তাইতো?
আপনিই বলুন, কেউ সারাদিন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অন্যের উপকার করবে তাহলে নিজের পেট চলবে কি করে?!!
কাজেই, এই অন্যায়ের কারণ হচ্ছে মানুষের ভোগান্তি, আর মানুষের ভোগান্তির কারণ হচ্ছে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা কিংবা পরিকল্পনাবিদদের দূরদর্শিতার অভাব।
অতিদ্রুত এই জায়গায় কয়েকটি প্রক্সি এক্সিট পয়েন্ট বের করার ব্যাবস্থা করা হোক, এবং সম্ভবত এটাই হচ্ছে সমাধান।
(অন-লাইন)
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ