জাতীয়

নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যাংক বাংলাদেশে খুলতে রাশিয়ার তোরজোর

  প্রতিনিধি ১৭ মার্চ ২০২৪ , ১০:০৭:২৪

শেয়ার করুন

বাংলাদেশে থাকা রাশিয়ান নাগরিকদের ব্যাংকিং সুবিধা দিতে বছরখানেক আগে কার্যক্রম শুরুর প্রস্তাব দেয় সেদেশের প্রভাবশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘এসবার’। যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় পড়ে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর। কূটনৈতিক ও বৈশ্বিক কারণে সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধায় পড়েছে বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় পদক্ষেপ নিতে হবে সাবধানতার সঙ্গে।

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর থেকেই বহু নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে রাশিয়া। ফলে পশ্চিমা দুনিয়া থেকে গুটিয়ে নিতে হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় একটা অংশ। টিকে থাকার লড়াইয়ে তাই রাশিয়ান কোম্পানির মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরও এখন এশিয়ার দিকে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে শাখা খুলতে চায় রাশিয়ান ব্যাংক এসবার। তবে চিন্তার খবর হলো দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকায় ২০২২ সালে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির যুক্তি, বাংলাদেশে থাকা রাশিয়ান গ্রাহকদের সুবিধা দিতেই এই উদ্যোগ। তাই গেল বছর দেয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নে আবারো শুরু হয়েছে কূটনৈতিক তোড়জোড়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে ব্যাংক খুললে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য খুব প্রসারিত হবে-সেটা বলা যায় না। বরং এতে এই দেশ নিয়ে পশ্চিমা ঘেঁষা দেশগুলো নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে পারে।

রাশিয়ার প্রস্তাবনায় শুরু থেকেই দ্বিধায় বাংলাদেশ। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এগোতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। কেননা, নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে ব্যবসা চালানোর অনুমতি দিলে তা তৈরি করতে পারে নতুন সংকট। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে দীর্ঘমেয়াদে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এসবার’ সুইফটেরও বাইরে আছে। সুতরাং লেনদেনে সমস্যা হতে পারে। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দেড় বিলিয়নের বাণিজ্য রয়েছে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে। ফলে দেশটির সঙ্গে ব্যাংকিং সিস্টেমে যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেটা এসবার যথোপযুক্ত হবে কিনা, সেটা দেখতে হবে। প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞার বাইরে আছে-এরকম রুশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।

এই প্রস্তাবে বহুমুখী প্রভাব বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগকে জানাতে বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content