রাজনীতি

বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় তারা ক্ষমতায় এসেছে-মঈন খান

  প্রতিনিধি ১৮ মার্চ ২০২৪ , ১০:৪৮:৪৭

শেয়ার করুন

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসা এনডিআই এবং আইআরআ-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি সবাই বলছেন। সরকার তা মেনে নিতে নারাজ। ক্ষমতাসীনরা বলছেন, বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় তারা ক্ষমতায় এসেছেন। তাদের কথায়ই প্রতীয়মান হয়, জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় আসেননি।

আজ সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুল কাঁঠাল বাগানে সদ্যকারামুক্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিকে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাসভবনে গেলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মঈন খান এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের সহযোগিতায় আমরা এ দেশ অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীন করতে পেরেছে। আজকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারেও আমরা বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করছি।

মঈন খান আরও বলেন, সরকারের অনেক কথাতেই প্রমাণ হয়েছে তারা নির্বাচনের নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছে। আজকে যারা এ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে সহযোগিতা করেছে তারা কি দেশের মঙ্গলের জন্য করেছেন? নাকি জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণের জন্য করেছেন?

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার এদেশে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছেন। তারা বিএনপিকে ভেঙে নির্বাচনে আনার জন্য অনেক প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। মেজর (অব.) হাফিজ সাহেবকে দিয়েও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাকে শহিদ জিয়ার আদর্শ থেকে দূরে সরাতে পারেনি।

ড. মঈন খান বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, জনগণ সে গণতন্ত্র ফেরত চায়। আজকে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। উন্নয়নের নামে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ ৩০ হাজার কোটি টাকায় করা হচ্ছে। উন্নয়নের নামে লুটপাট হচ্ছে, আর কাফফারা দিচ্ছে জনগণ।

এসময় রবির পরিবারের সদস্যরা মঈন খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এসময় শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে। কারও কারও হাতের নখও তুলে ফেলেছে। কারাগারে নেতাকর্মীদের সেলের বাইরে যেতে দেওয়া হতো না। এটি আমাদের জন্য ছিল নির্মম কারাবাস। এটি ছিল বিএনপি নিধনের একটি প্রক্রিয়া।

এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের লিটন, জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা, সাবেক মুজিবুর রহমান মজু, ধানমণ্ডি থানার বিএনপিনেতা কাবিল আহমেদ, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য সচিব মোহাম্মদ সৈকত, নিউ মার্কেট থানার সদস্য সচিব মো. চঞ্চলসহ কলাবাগান, নিউমার্কেট, ধানমণ্ডি ও হাজারীবাগ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় নয় মাস কারাভোগের পর ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান রবি। গতবছর ২৩ মে ধানমণ্ডির সিটি কলেজের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন রবি। বর্তমান সরকারের আমলে নয়বার কারাবরণ করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ১৯৩টি মামলা। তিনটি মামলায় তার সাড়ে আট বছর সাজা হয়।

এর আগে সকালে মঈন খান সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারের রাজাবাজারের বাসভবনে যান।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content