আন্তর্জাতিক

‘বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র

  প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২৪ , ৬:৩১:২২

শেয়ার করুন

বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্রঃ মিলার

বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

গণতান্ত্রিক শাসন জোরদার ও মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার অঙ্গিকার পুর্নব্যক্ত করে স্বাধীনতা দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন যে বিবৃতি দিয়েছেন সেই অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে বুধবার স্টেট ডির্পাটমেন্টের ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

বাংলাদেশের জনগণ যখন কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনে নির্যাতিত হচ্ছে সে প্রেক্ষাপটে বাইডেন প্রশাসন কী ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট করসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারীর করা এই প্রশ্নের জবাবে মিলার জানান বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সর্বোচ্চ
গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে গণতন্ত্রের বিকাশ।

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রত্যাশা ছিলো তার কথা উল্লেখ করে তিনি এই প্রতিবদেককে বলেন, বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে নির্বাচন পূর্ব মুর্হূতে অবাধ এবং সুষ্ঠু নিয়ে “আমি এবং আপনি প্রায় সময়ই কথা বলেছি”।

ব্রিফিংয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, “যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশটির তরফে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা জোরদার ও মানবাধিকার রক্ষায় জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশ এখন কর্তৃত্ববাদী এক প্রধানমন্ত্রীর শাসন চলছে, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের অভাবে দেশটির জনগণ নির্যাতিত হচ্ছে, এরকম একটি পরিস্থিতি বাইডেন প্রশাসন কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বিষয়টা কী খোলাসা করে বলবেন?”

জবাবে মিলার বলেন, “বাংলাদেশ ইস্যুতে বলছি, সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে বলার মতো কিছু আমার হাতে এখন নেই। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের বাইরে আমরা যেটা স্পষ্ট করে বলেছি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের পররাষ্ট্রনীতির সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংলাপের সময় অব্যাহতভাবে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমরা কথা বলে যাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “অবশ্যই যেটা না বললেই নয়, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সমানে রেখে প্রায় সময়ই আপনি (মুশফিক) এবং আমি এ ইস্যুতে কথা বলেছি। বিষয়টা ছিলো অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

এমআর/


শেয়ার করুন