স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) ইফতারের পর সোয়া সাতটার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যার পর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে বাসায় আনা হয়।
এদিকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। বুধবার রাতে হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এই কথা জানান খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে দেশবাসীকে রমজান মোবারকবাদ জানিয়েছেন। আর আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রমজানে উনার জন্য দোয়া করতে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা এখন কেমন রয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ক্রনিক লিভার ডিজিজ, এটি অস্থায়ী চিকিৎসা। লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, যেটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে করা সম্ভব। উনার সুচিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বারবার সরকারের কাছে বলা হয়েছে। উনি এদেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। আর উনার সুচিকিৎসা পাওয়া উনার সাংবিধানিক অধিকার।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে তাহলে যে সমস্ত ক্রনিক লিভার ডিজিজ, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এবং উনার হার্টে একবার মাত্র এনজিওপ্লাস্টি করা হয়েছে। উনার আরও ব্লক রয়ে গেছে। কাজেই যত দ্রুত উনার সুচিকিৎসার জন্য একটা ভালো সেন্টারে নেওয়া যাবে ততই তার রোগ মুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য উনাকে দেশের বাইরে যেতে দেওয়া উচিত। এজন্য দল ও পরিবারের পক্ষ যে আবেদন করা হয়েছে তা এতদিন না হলেও এখন ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আমরা এবং দেশবাসী মনে করি।
ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন আরও বলেন, খালেদা জিয়ার সুস্থতা ক্ষণিকের বিষয়। উনি যে সুস্থ, উনি কিন্তু আপনার আমার মতো সুস্থ নাই। আর মাঝে মাঝে কিছু জটিলতা বেড়ে যায়। সেগুলোর পরীক্ষা বাসায় করা সম্ভব হয় না। সেজন্য উনাকে হাসপাতালে আনতে হয়।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মেডিকেল বোর্ড উনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
এর আগে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য এভারকেয়ারে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওইদিন হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা করা হয়। পরে সেদিন রাতেই গুলশানের বাসভবনে ফিরেন তিনি। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যার পর হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ