প্রতিনিধি ৫ মার্চ ২০২৪ , ১২:০৫:২৪

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) উপনির্বাচনের মেয়রপ্রার্থী ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর উঠান বৈঠকে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও সাক্কুর মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁয় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উভয় ঘটনায় হোটেলের ৩ কর্মচারী এবং নারীসহ ৮জন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় অভিযোগ জানাতে রাতেই সাক্কু রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাক্কুর মিডিয়া সমন্বয়কারী কবির হোসেন মজুমদার বলেন- বিকাল পৌনে ৫টার দিকে নগরীর নতুন চৌধুরী পাড়া এলাকায় একটি খালি মাঠে মনিরুল হক সাক্কুর নির্বাচনী পথসভা শুরু হয়। এ সময় বাস প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. তাহসিন বাহার সূচনার ৩৫-৪০ জন কর্মী ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়।
এ সময় তারা ১০-১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল বিস্ফোরণের সময় তাসরীন (২৪) নামের এক যুবতীসহ আরও ২-৩ জন আহত হয়। এতে উঠান বৈঠকে আসা লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে কয়েকজন যুবক সভাস্থলে পাশে লোকদের দিকে হামলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় মাইক হাতে দাঁড়িয়ে মনিরুল হক সাক্কু লোকজনকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। বাস প্রতীকের প্রার্থীর সশস্ত্র কর্মীরা নতুন চৌধুরীপাড়া থেকে পরে নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় সাক্কুর মালিকানাধীন রেড রোফ ইন নামের একটি রেস্তরাঁয় হামলা চালায়। ওই রেস্তরাঁর সুপারভাইজার মো. হৃদয় বলেন, ২০-২৫ জন যুবক হঠাৎ হোটেলের সামনে এসে হামলা চালায়। তারা সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে হোটেলের বাইরের গ্লাস ও অন্যান্য অবকাঠামো ভাঙচুর করে। এ সময় যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই ওই যুবকরা মারধর করেছে। এতে হোটেলের কর্মচারী মোহাম্মদ ফারুক, রুহুল আমিন সরকার, কবির হোসেন ও ঘড়ির কর্মী মোহাম্মদ নাছিরসহ ৮-১০ জন আহত হয়েছে।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের সুষ্ঠু নির্বাচনের যে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন বাস্তবে এর উল্টো হচ্ছে। আমার উঠান বৈঠকে ও হোটেলে হামলা হয়েছে, কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। ইসি ও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘হামলার পর নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে হামলার বিষয়টি অবহিত করেছি। আশা করি নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করবে।’ রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ডা. তাহসিন বাহার সূচনার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, নগরীর রেসকোর্স এলাকায় আমাদের মহিলাকর্মীদের একটি মিছিলে সাক্কুর লোকজন হামলা করেছে, এখন উল্টো তিনি (সাক্কু) আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। হামলার বিষয়টি তদন্ত হোক।
রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক রাতে অফিসে এসে হামলার বিষয়টি অবগত করেছেন। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।











