প্রতিনিধি ১১ মার্চ ২০২৪ , ১০:৩০:০০
মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও পুণ্যময় মাস হলো রমজান। যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য প্রতীক্ষা করে সবাই। তার জন্য পূর্বপ্রস্তুতিও নেয়। সব যুগে, সব দেশে, সব ধর্মের মানুষই এরূপ করে থাকেন। প্রবাসী মুসলমানেরাও ইবাদত-বন্দিগি ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও পুণ্যময় মাস হলো পবিত্র রমজান। পবিত্র রমজান মাস মুমিনের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের কারণ হয়ে আগমন করে। সুতরাং দেশের মতো প্রবাসীরাও রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার চেষ্টা করে থাকেন। শারীরিক, মানসিক, বৈষয়িক ও অভ্যাসগত সব ক্ষেত্রেই পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়। রমজান পর্যন্ত আয়ু প্রলম্বিত করার জন্য প্রভুর দরবারে বেশি বেশি দোয়াও করতে থাকে।
যেহেতু হাদিসে পাওয়া যায়, হজরত রাসূলুল্লাহ সা: রজব মাস থেকেই রমজানের প্রতীক্ষায় থাকতেন। এ উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণে মনোযোগী হতেন। রজবের চাঁদ দেখা দিলে আরো বেশি নফল রোজা রাখতেন। বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতেন। কুরআনে কারিমের তিলাওয়াত বাড়িয়ে দিতেন। সঙ্গীদেরও রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতেন। আকাশে রজবের চাঁদ ওঠার সাথে সাথে নবী করিম সা: রমজান পর্যন্ত আয়ু বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। সাহাবিদেরও দোয়া করতে বলতেন। বেশি বেশি এ দোয়া পাঠ করতেন ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাজান’। অর্থাৎ হে আল্লাহ, তুমি রজব ও শাবান মাসে আমাদের ওপর বরকত নাজিল করো এবং রমজান পর্যন্ত আমাদের হায়াত দীর্ঘায়িত করে দাও। সে হিসেবে প্রবাসীরাও বেশি বেশি কুরআন-হাদিস, ইসলামিক বই অধ্যয়নের প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। পরিকল্পনা করেন, রমজান মাসে কুরআন মজিদ সহিহশুদ্ধ করে পড়ার! তবে অধ্যয়ন ও তিলাওয়াত দুটোই এক সাথে করার চেষ্টা করেন অনেকে। বেশির ভাগ প্রবাসী আবার সমাজের গরিব, অসহায়দের জন্য ইফতারসামগ্রী বিতরণ, ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে থাকেন।
দেশ আর প্রবাসের জীবন আকাশ পাতাল পার্থক্য।ভোর বেলার পাখি ডাকার আগেই যারা আরামের ঘুম ভেঙে কর্মের জন্য ছুটে চলেন তারা হলো প্রবাসী।সারাদিন কর্মব্যস্ততা শেষে গোসল,রান্না,খাওয়া শেষে পরিবারের সাথে ফোনালাপ।গতকাল পবিত্র মাহে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে সিঙ্গাপুরে।শতকর্ম ব্যস্ততায়ও প্রবাসীগন মহান আল্লাহ তায়ালা এর দরবারে গিয়ে তার কুদরতি পায়ে মাথানত করতে ভুল করেননি।মুসলিম দেশ গুলো থেকে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও সিঙ্গাপুরে সকল ধর্ম পালনে পূর্ণ অধিকার আছে।সিঙ্গাপুরে ধর্মীয় বিষয়ে সরকার ও স্থানীয় জনগন খুবই আন্তরিক।
সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর যেসমস্ত ভাইয়েরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধমে সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ডরমেটোরীতে নামাজের ব্যবস্থা করেন আল্লাহপাক তাদের এমন ত্যাগগুলোকে কবুল করে দুনিয়াও আখিরাতে সম্মানিত করুন।।
আজকের ইফতার-৭:১৯ মিনিট
১৩ ই মার্চ বুধবার সেহরির শেষ সময়:৫:৫৪ মিনিট।