অন-লাইন

শিরোনাম জানা নেই

  প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২৪ , ১২:০৭:৪৩

শেয়ার করুন

প্রচন্ড তাপদাহে হাস ফাঁস অবস্থা

অর্নিবাণের।

একটু পরিত্রাণ পেতে বাড়ি পাশের মুদির দোকানে গেছে কোমলপানীয় কিনতে।

ঠিক তখনি চোখে পড়ল অনিন্দ্য এক দৃশ্য এই প্রচন্ড তাপদাহ ভয়াল তীব্রতা উপেক্ষা মলিন ছেড়া কাপড় হাড্ডিসার দেহের রিকশাওয়ালা বাবার কাঁধে চড়ে দোকানে দিকে আসছে পাঁচ/বছরের এক ছেলে। নাক দিয়ে তার সর্দ্দি ঝরছে।

বাবার গায়ের গেঞ্জিটাও শতচ্ছিন্ন, ময়লা লুঙ্গি।

দোকানে এসে লজেন্সের বয়াম থেকে চার/পাঁচ লজেন্স ছেলের হাতে তুলে দিয়ে ব’লে

বাবা তিনের ঘরের নামতা বল দেখি

অবুঝ শিশুটা লজেন্স প্যাকেট একটা লজেন্স মুখে দিয়ে আওড়াতে থাকে

তিন একে তিন
তিন দুগুণে ছয়
তিন তিরিক্কে নয়

এভাবে পুরো নামতা শেষ করে

এরপর বলে উঠে আমি চারে ঘরের নামতাও জানি

অপলক দৃষ্টিতে সব দেখছে অর্নিবাণ

রিকশাওয়ালা বাবা ছেলে কে বলে একটা আইসক্রিম নে।

ছেলে বলে থাক বাবা লাগবে।

বাবা ছেলের এই আহলাদ দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠে অর্নিবাণ।

এই তীব্র গরমে কত কষ্ট লাগে রিকশা চালতে
আর যখন রিকশাওয়ালা পাঁচ টাকা ভাড়া বেশি চায় তখন আমারা তেড়ে আসি।

অথচ রেষ্টুরেন্ট যেয়ে হাজার হাজার টাকার খাবার খেয়ে ওয়েটারকে শতশত টাকা বকশিস দিই।

কত অল্পতে খুশি হয় এরা

অর্নিবাণের এখন স্পষ্ট মনে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় বাবার কাছে তখনকার সময়ে জনপ্রিয় জাপানি “লারচি” প্যান্টের পিচ না তিনদিন কথা বলেনি বাবার সাথে।

আর এক্ষণ ইচ্ছে হলে যে কোন পুরো একটা গামেন্টস কেনার ক্ষমতা রাখে।

আাসলে সেই সময় অর্নিবাণের বাবার সামর্থ্য ছিলো।

আসলে বাবা না হলে বোঝা যায় না বাবাদের কষ্টটা,

বাবা মায়েরা কখনও কোনদিনও সন্তানের অমঙ্গল চাই

সেটা আমরা সেই সময়ে বুঝিনা।

ভালো থাকুক
পৃথিবীর সকল মা-বাবা।

(ফেসবুক থেকে নেয়া)


শেয়ার করুন