প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১২:০৩:৩৩
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রামের গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা মালিক সমিতি কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম চৌধুরী মনজু।
এ সময় গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের সব মহাসড়ক থেকে অবৈধ যান বন্ধ ছাড়াও চুয়েট শিক্ষার্থীদের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত গণপরিবহনের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান মালিক শ্রমিক সমিতির নেতরা।
এছাড়াও বিভিন্ন গণপরিবহনে হামলা, আগুন, পুলিশের হয়রানি, সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্য বন্ধসহ শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলায় বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম চৌধুরী মনজু বলেন, বাসচালকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেনি। মোটরসাইকেল চালক বেপরোয়া ছিলেন বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলআরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর জেরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঘাতক বাসের চালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর কিছুটা শান্ত হয় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। ওই বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনও করেন শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ৯ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও হলে অবস্থান করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।