চলতি বছরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজার দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় পড়তে হবে লোকসানের মুখে।স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরসহ বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি রয়েছে। এর মধ্যে সাদেকপুর ও শ্রীনগর ইউনিয়নের জোয়ানশাহী হাওর এবং আগানগরের ডিগচর অন্যতম। চলতি বছরে ভৈরবে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
আবাদকৃত জমির মধ্যে আগাম জাতের বিআর ২৮, ৮৮ ও বঙ্গবন্ধু ধান অন্যতম। তবে, ২৯ ধানের চাষাবাদ বেশি। স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরের আগাম জাতের ১০ ভাগ ফসলি জমির ধান কাটা হয়েছে।
কৃষকদের দাবি, ধান উৎপাদনে সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দাম কম। ফলে লোকসান দিয়েই তাদেরকে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।ধানের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, মোটা বোরো ধান ৭৪০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে, এখনও বাজারে চিকন ধানের আমদানি শুরু হয়নি। সবমিলিয়ে মুখে হাসি নেই কৃষকের। অথচ, সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ২৮০ টাকা দাম পড়ে। ফলে ধানের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ