সাভারের হেমায়েতপুরে তেলের লরি উল্টে পাঁচটি গাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় মো. সাকিব (১৫) নামে আরও এক দগ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ১টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই কিশোর। আগুনে শরীরের শতভাগই পুড়ে গিয়েছিল তার। পুড়ে যাওয়া চারটি ট্রাকের মধ্যে তরমুজবাহী একটি ট্রাকের হেলপার ছিল সে। এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মৃত্যু হয় একই ট্রাকের চালক হেলাল হাওলাদারের (৩০)। দুর্ঘটনায় শতভাগ দগ্ধ হয়েছিলেন তিনিও।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হেলাল ও সাকিবের মৃ্ত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হেমায়েতপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোড়পুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় লরির পেছনে আটকে থাকা চারটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার সেখানেই পুড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইকবাল হোসেন নামে এক ট্রাক শ্রমিকের। সঙ্গে দগ্ধ হন মিম (১০), আল-আমিন (৩৫), নিরঞ্জন রায় (৪৫), মিলন মোল্লা (২২), সাকিব (২৪), হেলাল হাওলাদার (৩০) ও নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে সাতজন ব্যক্তি। তাদের সবাইকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। কিন্তু, হাসপাতালে পৌঁছানোর পরপরই মৃত ঘোষণা করা হয় নজরুল ইসলামকে (৪৫)।
দগ্ধদের মধ্যে ছয়জনই ছিলেন তরমুজবাহী একটি ট্রাকে। তাদের মধ্যে তরমুজ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, ট্রাক চালক হেলাল ও হেলপার সাকিব মারা গেছেন। ট্রাকটি বরগুনা থেকে গাজীপুরে যাচ্ছিল।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে দগ্ধ অবস্থায় সাতজনকে বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে হাসপাতালে আসার আগেই নজরুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের মধ্যে হেলাল ও সাকিবের শরীরের ১০০ শতাংশ পোড়া ছিল। এই দুইজনের মধ্যে ঘটনার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হেলাল হাওলাদারের মৃত্যু হয়। আর রাত ১টা ২০ মিনিটে সাকিবের মৃত্যু হয়।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ