আন্তর্জাতিক

অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের সকল টিকা তুলে নিচ্ছে

  প্রতিনিধি ৮ মে ২০২৪ , ৯:৫৩:০৩

শেয়ার করুন

করোনাভাইরাস মহামারীর চার বছর পর বিশ্ব বাজার থেকে সব কোভিড টিকা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ-সুইডিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

রয়টার্স জানিয়েছে, কোভিডের নতুন নতুন ধরনের আবির্ভাব এবং সেগুলো প্রতিরোধে বাজারে পর্যাপ্ত হালনাগাদ ভ্যাকসিন থাকার কারণে নিজেদের চাহিদা কমার কথা জানিয়ে মঙ্গলবার থেকে টিকা প্রত্যাহারের কথা বলছে এ কোম্পানি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, “যেহেতু বিভিন্ন ধরনের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে, হালনাগাদ ভ্যাকসিনগুলো বাজারে উদ্বৃত্তও আছে। ফলে ভ্যাক্সজেভরিয়া ভ্যাকসিনের চাহিদা কমে গেছে। এগুলো আর তৈরি কিংবা সরবরাহও করা হচ্ছে না।”

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ টিকা উৎপাদন হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে। আর ইউরোপে তৈরি একই টিকার নাম তারা দিয়েছিল ‘ভ্যাক্সজেভরিয়া’।

তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকায় শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা কমে যাওয়ার মত বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবরে আলোচনা শুরু হয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যে আছে, সে বিষয়টি পরে স্বীকারও করে কর্তৃপক্ষ। আর এখন চাহিদা কমার কথা জানিয়ে এসব টিকা বাজার তুলে নেওয়ার কথা বলছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

কোভিড-১৯ এর জন্য তৈরি টিকা বিক্রি কমে যাওয়ার পর গত বছর বেশ কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের টিকা এবং স্থূলতা ঠেকানোর ওষুধ উৎপাদনে মনোযোগী হয় লন্ডনের তালিকাভুক্ত এই ওষুধ কোম্পানি।

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু ও শারীরিক জটিলতার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণের দাবিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে সেখানকার একটি আদালতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে, ‘খুবই বিরল ক্ষেত্রে’ কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যার ফলে ‘টিটিএস’ বা ‘থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ হতে পারে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, রক্ত জমাট বাঁধা এবং প্লাটিলেট মাত্রা কমে যেতে পারে টিটিএসের কারণে। যুক্তরাজ্যে ৮১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এর যোগসূত্র রয়েছে। যদিও টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণার সঙ্গে আদালতে চলমান মামলার সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ।

এক বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, “স্বাধীন জরিপ অনুযায়ী, টিকা ব্যবহার শুরুর প্রথম বছরে ৬৫ লাখ মানুষের জীবন বেঁচেছে। বিশ্বব্যাপী ৩০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। আমাদের এই প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং বিশ্বব্যাপী মহামারী শেষ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

“এখন একাধিক বিকল্প কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ায় বাজারেও হালনাগাদ ভ্যাকসিনগুলো পর্যাপ্ত বা উদ্বৃত্ত রয়েছে। আমরা এখন অংশীদার ও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই অধ্যায় শেষ করার জন্য কাজ করব।”


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content