প্রতিনিধি ৪ মে ২০২৪ , ১২:২৯:০০
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বদিউজ্জামান ফকির নামে এক উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে থানায় ঢুকে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে আমিনুল ইসলাম সরকার নামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তার পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। এসব ঘটনায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম এই নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী দুইদিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে আমিনুল ইসলাম সরকারকে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, ‘নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য যেকোন ব্যক্তির সমান অধিকার থাকিবে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অর্থ, অস্ত্র ও পেশী শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাইবে না।’
কিন্তু আমিনুল ইসলাম সরকারের পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও গত ১ মে আমিনুল ইসলাম বেলকুচি থানার ভেতরে ঢুকে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মো. বদিউজ্জামান ফকিরের ওপর আক্রমন করেছেন। এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফকির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩, বিধি ২২ এর (১) এবং বিধি ৩১ এর পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা দুই দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দাখিল করার জন্য বলা হলো।
আমিনুল ইসলাম সরকারকে কারণ দর্শানোর এ নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।