প্রতিনিধি ৯ মে ২০২৪ , ৯:১৯:২৪
বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ৯টায় চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিএএফ জহুরুল হক ঘাঁটিতে নিহতের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় আসিম জাওয়াদের বাবা ডা. মো. আমান উল্লাহসহ বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম শফিউল আজম ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার পর আসিমের স্বজন ও সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রথম জানাজার পর আসিম জাওয়াদের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ইয়াক-১৩০ বিধ্বস্ত হয়। এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
বিমানের পাইলট উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খাঁন এবং স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। এ সময় পাইলটরা বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে সক্ষম না হওয়ায় পরে দুই পাইলট প্যারাস্যুটের মাধ্যমে অবতরণ করেন। বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে বোট ক্লাবের পাশে নদীতে পড়ে।
এতে গুরুতর আহত হন বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত আসীম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তার ছয় বছরের এক ছেলে ও দেড় বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আসিম চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহরুল হকের অফিসার্স আবাসিক এলাকার নীলিমাতে বসবাস করতেন।