আন্তর্জাতিক

হামাসের টানেল থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার

  প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২৪ , ৭:১২:২৫

শেয়ার করুন

গাজা উপত্যকায় হামাসের একটি টানেল থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

 

শনিবার (১৮ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

যাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- শানি লৌক, অমিত বুসকিলা এবং ইতজ্যাক গেলেরেন্টার।

আইডিএফ বলেছে, গত ৭ অক্টোবর তাদের হত্যা করা হয়েছিল। পরে তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ইসরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের দক্ষিণ ইসরায়েলে নোভা উৎসবে হত্যা করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর ওই উৎসবে যোগ দেওয়া ৩৬০ জনের বেশি মানুষ হামাসের হামলায় নিহত হন।

ইসরায়েলে হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া দেশটি থেকে ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনজন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের খবরে আমি মর্মাহত। আমার স্ত্রী সারা এবং আমি তাদের পবিরারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের সব জিম্মিকে ফেরাব-জীবিত অথবা মৃত। আমি আমাদের সাহসী সেনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা আমাদের ছেলে ও মেয়েদের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে।

এদিকে হামাসের হাতে এখনো প্রায় ১২৫ জন জিম্মি রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন জীবিত আছেন, তা নিশ্চিত নয়। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে বাকী জিম্মিদের কতজন এখনো জীবিত রয়েছে। এই জিম্মিদের দেশে ফেরাতে ইসরায়েলে নিয়মিত বিক্ষোভ করছেন দেশটির নাগরিকেরা।

আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, রাতভর এক অভিযানের সময় মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তারা বলেছে গাজায় যাদের আটক করা হয়েছে সেসব সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।

হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের আত্মীয়দের সংগঠন দ্য হোস্টেজেস ফ্যামিলি ফোরাম তিন জিম্মির মরদেহ পাওয়ার খবরে বলেছে, এ খবর পেয়ে গভীর দুঃখে এবং ভগ্ন হৃদয়ে মাথা নত করেছেন তারা। এই তিনজনকে হামাসের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে বলেও মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।

আইডিএফ এর ঘোষণার পর হামাসের সামরিক শাখা বলেছে জিম্মিদের তারা ফেরত দিবে একমাত্র আমাদের মানুষের জন্য একটি সম্মানজনক বিনিময় চুক্তি হওয়ার পর।

যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে কায়রোতে যে আলোচনা চলছিলো সেটি এখন থমকে আছে।

সাতই অক্টোবরের ওই হামলার পর ইসরায়েল গাজায় অভিযান চালায়। এতে ৩৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

প্রায় ২২ লাখ ফিলিস্তিনি মানুষ এখন মারাত্মক খাদ্য সংকটে আছে এবং তাদের জরুরি আশ্রয় ও অন্য সহায়তা দরকার বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content