আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিশ্বজুড়েই অন্যতম একটি মাধ্যম রাডার। এতে বৃষ্টিপাতসহ আবহাওয়ার নিখুঁত তথ্য অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে জানা যায়। দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা, রংপুরসহ ৫টি স্থানে রয়েছে ৫টি রাডার আছে। তবে ঢাকা ছাড়া বাকি চারটি রাডারের মেয়াদ শেষ হয়েছে। স্পেয়ার পার্টস দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে সেগুলোর কার্যক্রম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব রাডার দিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয় না। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রাডার ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বের অন্তত তিনটি দেশের স্যাটেলাইটও ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্যাটেলাইট ও রাডার একে অন্যের পরিপূরক হলেও বিকল্প নয়। আবহাওয়ার আপডেট তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে রাডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নিজেদের সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য এসব রাডার দ্রুত কার্যকর করতে হবে। জবাবদিহিতা না থাকার কারণে রাডার নিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, স্যাটেলাইট ও রাডার একে অন্যের পরিপূরক হলেও বিকল্প নয়। এসময় নিজেদের সামর্থ্য বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের অনেক দূরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় স্যাটেলাইট ট্রেস করে দেবে। কিন্তু সেটি স্থলের কাছে আসলে রাডার ট্রেস করবে। অর্থাৎ, স্যাটেলাইট প্রাথমিক তথ্য দেবে, আর রাডার সেটার বিস্তারিত তথ্য দেবে। এ দুটি একটি অন্যটির হাত ধরে চলবে। এখানে একজন অন্যজনের পরিপূরক হলেও বিকল্প নয়। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটির ওপর নির্ভর করে ভালো তথ্য পাওয়া যাবে না।
প্রধান আবহাওয়াবিদ ড. শামীম হাসান ভুইয়া বলেন, আবহাওয়া বার্তার জন্য জাপানি স্যাটেলাইট, কোরিয়ান এবং চায়না স্যাটেলাইট ব্যবহার করি আমরা। এছাড়া এয়ার ফোর্সের রাডারের সাহায্যে আবহাওয়া বার্তার কাজগুলো চালানো হচ্ছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ হলে অনেকটা সক্ষমতা বাড়বে।
তিনি বলেন, নষ্ট হওয়া রাডারগুলো প্রতিস্থাপনে জাইকা অনুদান দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় নিজেদের অর্থায়নেই রাডার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে চলছে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ