গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে প্রায় ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেশ চড়া। ফলে অস্বস্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সবজি কেনা অসাধ্য হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা ক্রেতাদের। আর ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে সবজির।শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। এ ছাড়া কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা, কচুমুখি ১৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, প্রতি পিস চাল কুমড়া ৫০ টাকায়। আর বরবটি ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, ঝিঁঙে ৬০ টাকা, এক ফালি মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ১২০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৬০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধা কপি ৬০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, গরমে সবজির চাহিদা বেড়েছে কিন্তু সে অনুপাতে সরবরাহ নেই। এছাড়া সবজি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে একধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। তাই বেশির ভাগ সবজির দাম বাড়তির দিকে রয়েছে।ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ কম থাকায় দাম সবজির বেড়েছে। এ ছাড়া ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দিলেও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। পাশাপাশি আমদানিকৃত রসুন ও আদার বুকিং রেট বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে রসুন ও আদার দামও বাড়তির দিকে রয়েছে।
আনিসুল হক নামের এক ক্রেতা বলেন, কারওয়ান বাজারে অন্য সব জায়গা থেকে একটু কম দামে সবজি পাওয়া যায়। তাই এখানে বাজার করতে আসি। তবে দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে সবজি কিনে খাওয়া অসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।
আবুল বাশার নামের আরেক ক্রেতা জানান, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা খুবই অস্বস্তিতে রয়েছেন। আজকে বাজারে এসে দেখলাম, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সব সবজির দাম বেড়েছে। জিনিসপত্রের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় নিম্নবিত্তরা খুবই চাপে রয়েছেন।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ