আওয়ামিলীগ

গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

  প্রতিনিধি ৭ মে ২০২৪ , ১১:৫৯:৩৯

শেয়ার করুন

গাজীপুরের প্রয়াত শ্রমিক নেতা ও সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ৭ই মে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দারাবাদ এলাকায় নিজ বাড়ির প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণসভায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মুহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আতাউল্লা মন্ডল। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলালীগ সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন অর্জন ও কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন এবং ব্যক্তি জীবনে তার সাধারণ জীবন-যাপন এবং সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যের দিক তুলে ধরেন। তরুণ প্রজন্মকে তার জীবন আদর্শকে ধারণ করার প্রতি আহ্বান জানান।

পরবর্তীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এর আগে আমন্ত্রিত অতিথিরা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুর মহানগরের হায়দরাবাদ গ্রামে আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন।
আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দলীয় এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। ২০০৫ সালের ১৬ মে এই মামলার রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।

২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামীদের ডেথ রেফারেন্স, জেল আপীল ও আবেদনের শুনাণি শেষে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে ১১জনকে খালাস দেয়। বিচার চলাকালে ২জন আসামী মারা যাওয়ায় তাদের আপীল নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামীর আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখে।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content