অন-লাইন

গ্রামের শিশুরা খেলার মাঠে নয়, গ্রামের শিশুদের আগ্রহ মোবাইল স্ক্রীনে

  প্রতিনিধি ১ মে ২০২৪ , ৪:৩৫:১৮

0Shares
এভাবেই ফাঁকা থাকে মাঠ

শেয়ার করুন

ভালুকা প্রতিনিধিঃ-শিশুর সুষ্ঠু ও সুন্দর বিকাশের জন্য সুস্থ পারিবারিক পরিবেশের সঙ্গে প্রয়োজন কিছু সামাজিক উপাদান। এগুলো হতে পারে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রগতিশীল শিশু সংগঠন, খেলার মাঠ, পাঠাগার ইত্যাদি।

প্রতিটি পাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, ক্লাব, পাঠাগার থাকতো।
একটা সময় ছিল, যখন স্কুল থেকে ফিরে কোনোরকমে ব্যাগটা রেখে নাকে-মুখে একটু খাবার গুঁজেই শিশুরা দৌড়ে মাঠে চলে যেত,ফিরত সন্ধ্যার আগেই।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, চার দেয়ালের মধ্যে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ সম্ভব নয়।
শারীরিক সুস্থতার জন্য ব্যায়াম, ছোটাছুটি, খেলাধুলা করা অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসকরাও রোগবালাই থেকে দূরে থেকে বাঁচতে শিশুদের খেলাধুলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
খেলার মাঠ অর্থাৎ মুক্ত পরিবেশ, ছোটাছুটি, বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার ধারণা আজকাল শিশুদের মধ্যে একেবারেই নেই।

ফুটবল-ক্রিকেট ছাড়াও মফস্বল ও গ্রামের শিশুদের সময় কাটত ঘুড়ি উড়িয়ে, গোল্লাছুট, দাঁড়িয়াবান্ধা, বৌছি, ডাঙ্গুলি, সাত চারা, লাটিম, মার্বেল, কানামাছি, কুতকুতের মতো খেলাধুলায়।

গ্রাম বাংলার খেলাধুলো

এসব খেলার কয়েকটি এতই জনপ্রিয় ছিল যে,
সব বয়সী মানুষ শিশুদের খেলা উপভোগ করতেন। দিতেন উৎসাহ।
এমনকি ২০০৮ সালে বেশিরভাগ গ্রামের শিশু এসব খেলার স্বাদ পেয়েছে।

কিন্তু নগরায়ন, শিল্পায়ন, কৃষিজমি সম্প্রসারণ ইত্যাদি কারণে মাঠের সঙ্কট শুরু হলে এই ঐতিহ্যে ভাটা পড়তে শুরু করে।

ধীরে ধীরে বিনোদনের বিকল্প মাধ্যম হয়ে ওঠে টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি।

এখন গ্রামের শিশুরা বাইরে গিয়ে ফুটবল-ক্রিকেটের বদলে অনলাইনে গেম খেলতে পছন্দ করে।

খেলাধুলায় এখন গ্রামের শিশুদের অনাগ্রহের সবচেয়ে বড় কারণ মোবাইল ফোনে আসক্তি।
অভিভাবকরা জানান, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই প্রথমে তাদের সন্তান মোবাইল নিয়ে বসে,
তারা মাঠে গিয়ে খেলতে অনাগ্রহী।

মোঃ-ইজাজ সরকার/হক_কথা


শেয়ার করুন

0Shares

আরও খবর

Sponsered content