বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার গুলোর জুলুমের বিরুদ্ধে কি প্রসাশন কোন পদক্ষেপ নেবে না !!
যেখানে ভারতের একজন নাগরিক তাদের দেশ থেকে ট্রেনিং বাবদ ব্যয় করে ২ লক্ষ টাকা সেখানে আমাদের দেশ থেকে দিতে হচ্ছে ১০ লক্ষ টাকা শুধু মাত্র ট্রেনিং খরচ বাকী তো আছেই।
মিয়ানমারের নাগরিককে সিঙ্গাপুরে আসতে কোন প্রকার ট্রেনিং লাগছে না।এছাড়া তাদের এজেন্সি খরচও খুবই সীমিত।ভারতীয় নাগরিকদের সমান।
একজন ভারতীয় নাগরিক বা মিয়ানমারের নাগরিকের নতুন শ্রমিকের সর্বনিন্ম দৈনিক ৮ ঘন্টা বেসিক কাজে বেতন ২০-২২ ডলার।সেখানে বাংলাদেশী নাগরিকের ৮ঘন্টা বেসিক বেতন ১৮ থেকে ২০ ডলারে।
ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিং শেষে আলাদা ব্যক্তিগত খরচে আসলে ২-৩ লক্ষ এছাড়াও সেন্টার এর মাধ্যমে আসলেও ১২-১৩ লক্ষ টাকা।এই ১৮ টাকা বেতনে কত দিনে উঠবে?
মিয়ানমার বা বাংলাদেশী নাগরিক থেকে বাংলাদেশী নাগরিকের এ বৈষম্য কেনো?
তাহলে বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে আমাদের অপরাধটা কোথায়?দেশের সরকার দেশের প্রসাশন কেউ কি কোন পদক্ষেপ নেবে না ??
আমাদের প্রবাসীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কি আমরা কোন সাহায্য পাবো না !
দেশ থেকে যদি আমরা সঠিকভাবে প্রবাসে আসতে না পারি তাহলে দেশে কি করে রেমিটেন্স যাবে ?
যেই লোক দেশ থেকে ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুরে আসবে সে সরকার থেকে কি সাহায্য পাচ্ছে !
সিঙ্গাপুরের শ্রমবাজার ধ্বংস হওয়ার আগেই সরকারের উচিত প্রবাসীদের পাশে দাড়ানো - ট্রেনিং সেন্টার গুলোর জুলুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে কেউ এতো টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুরে আসবে বলে মনে হয় না।
সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা !! চিন্তা করা যায় শুধুমাত্র ট্রিনিং খরচ!
আমার নিজের কম্পানিতে একজন কোলকাতার ভাই ট্রেনিং সেন্টার থেকে পাশ করে সিঙ্গাপুরে এসেছে ।
সরকার যদি কোন প্রমান লাগে আমরা সকল প্রবাসীরা প্রমান সংগ্রহ করে দেবো আপনারা শুধু এই জুলুমবাজ সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন ।
অনুরোধক্রমে
সজিব আহম্মেদ
সিঙ্গাপুর প্রবাসী।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ