প্রতিনিধি ২৬ জুন ২০২৪ , ৩:২৯:৫২
জেনারেল আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগ।ণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন: জেনারেল রাইডার
- পেন্টাগন থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন পেন্টাগন মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।
মঙ্গলবার পেন্টাগনের ব্রিফিং রুমে বাংলাদেশের চলমান অবনতিশীল গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরে এ কথা বলেন মুখপাত্র জেনারেল প্যাট রাইডার।
বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধে স্টেট ডিপার্টমেন্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাতে পেন্টাগনের সমর্থন রয়েছে বলে জানান এই মুখপাত্র।
ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহণ করে পেন্টাগনে অ্যাক্রেডিটেড
করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, ” জেনারেল প্যাট, আপনাকে ধন্যবাদ ।পেন্টাগন কীভাবে তাদের সেনা এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের নির্দেশিত করছে, বিষয়টা কী জানতে পারি? কেনোনা ব্যাপক দুর্নীতির দায়ে জড়িত থাকার দায়ে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চরম মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে ভুল পথে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। পুলিশ এবং র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।”
জবাবে জেনারেল রাইডার বলেন, “প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই ব্রিফিং রুমে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনার প্রশ্নে যেমনটা বলেছেন যে, এ বছরের মে মাসে ব্যাপক দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে জেনারেল আহমেদের (আজিজ আহমেদ) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিরই দৃঢ় প্রতিফলন। দুর্নীতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে পেন্টাগন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এই বলে শেষ করতে চাই যে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘনিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের অভিন্ন
স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব বিরাজমান। যেমন বলা যায় অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সুমদ্র সীমা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো।”